কলকাতা : হরতালের দিন শিক্ষা দফতরে গরহাজির কর্মীদের বেতন কাটা না হলে স্কুল-কলেজের বেতন বয়কট করবেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাঠানো চিঠিতে এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পাণ্ডা।
শঙ্কুদেব বলেছেন, ‘কাজ করার জন্যই কর্মচারীদের বেতন দেয় রাজ্য সরকার। যদি কেউ হরতালের নামে কাজে যোগ না দেন, তাহলে তার বেতন কাটতে হবে। এটাই কর্মসংস্কৃতি। শিক্ষামন্ত্রীকে আমরা একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছি। ’
শিক্ষা দফতর হরতালের দিন গরহাজির কর্মীদের বেতন না কাটলে তারা আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছি, হরতালের দিন কাজে না আসা কর্মীদের বেতন কাটা না হলে আমাদের সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরাও বেতন দেবেন না। ’
তিনি বলেন, ‘হরতাল করার অধিকার যদি কারও থাকে, সরকারেরও তবে বেতন কাটার অধিকার আছে। বেতন না কাটলে আমাদেরও বেতন না দেওয়ার অধিকার আছে। ’
ইতিমধ্যেই হরতালের দিন গরহাজির কর্মীদের তালিকা তৈরি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
সোমবার শিক্ষামন্ত্রী দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মন্ত্রিসভায় ভিন্নস্বর থাকতে পারে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। আমার কথা, আমি মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েও বলতে পারি। ’
২৮ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা হরতালের দিন গরহাজির কর্মীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা স্বরাষ্ট্র দফতর।
সেই তালিকা তৈরি সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘তালিকা আমি এখনো তৈরি করিনি। আমি গোয়েন্দাগিরি করতে পারবো না। ’
সেখানেই না থেমে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, হরতালের দিন কর্মীরা আসতে পারেন, নাও আসতে পারেন। সেই অধিকার তাদের আছে।
হরতালের দিন সরকারি কর্মীদের অফিসে উপস্থিত থাকা নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হরতালের দিন কাজে উপস্থিতি ‘আবশ্যিক’ করে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল।
হরতালের দিন কাজে না এলে ‘শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে চাকরিতে ছেদ পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে পরের দিন, অর্থাৎ ২৯ ফেব্রুয়ারিই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন দফতরের অনুপস্থিত কর্মীদের তালিকা প্রায় বানিয়েও ফেলেছে রাজ্য সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১২