কলকাতা: রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজের দাবিতে ১৫ মার্চ থেকে সংসদের বাইরে ধর্নায় বসবেন তৃণমূল সাংসদরা। নয়াদিল্লিতে রেল বাজেটের পরের দিন থেকে শুরু ওই ধর্নায় তৃণমূল সাংসদরা ঋণের সুদ আপাতত না নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাবেন বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে দলীয় সূত্রের বক্তব্য, ইউপিএ সরকারকে বিপন্ন করা এই প্রতিবাদের উদ্দেশ্য নয়। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি ইতিমধ্যেই সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ছিন্ন করা হবে, এমন কোনো বার্তা যেন না যায়।
মঙ্গলবার শরিক দলগুলোকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজ রয়েছে। সেখানে হাজির থাকবেন তৃণমূলের সাংসদ রত্না দে নাগ। কিন্তু এরই পাশাপাশি নেত্রীর নির্দেশ, রাজ্যের দাবি আদায় করতে সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর নিরবচ্ছিন্ন চাপও বজায় রাখতে হবে।
লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ ব্যানার্জি সোমবার বলেছেন, এক অসম্ভব আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এগোতে হচ্ছে। সিপিএমের রেখে যাওয়া ঋণের পাহাড়ের ওপর আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি।
তিনি আরো বলেন, সংসদ অধিবেশন চলাকালীন রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা এবং বাজেট নিয়ে আলোচনার সময় রাজ্যের দাবি প্রসঙ্গে সরব হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পাওয়া যাবে।
পরিসংখ্যান বলছে, এক বছরে রাজ্যের আয় ২১ হাজার কোটি রুপি হলে, ২২ হাজার কোটি রুপি শুধু দিতে হচ্ছে সুদ-সহ ঋণশোধ করার জন্য।
এই পরিস্থিতিতে মূলত যে দাবিটি নিয়ে তৃণমূল সরব হচ্চে, তা হল, আগামী ৩ বছরের জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ঋণের সুদ যেন কেন্দ্র না নেয়।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই আর্থিক সাহায্য চেয়ে দিল্লিতে দেন দরবার করে চলেছেন মমতা ব্যানার্জি। সম্প্রতি দিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করে গেছেন। তার সেই বৈঠকের আগের দিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সুদ মওকুফ করার আর্জি জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১২