কলকাতা : ৫ বছরের জন্য নয়, এবার ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার সময় এককালীন পনেরো বছরের জন্যই কর মিটিয়ে দিতে হবে ক্রেতাকে। কিউভিক ক্যাপাসিটি বা সিসি নয়, এবার থেকে গাড়ির দামের ভিত্তিতে ঠিক হবে করের পরিমাণ।
রাজ্য পরিবহন দফতর সূত্রে খবর, প্রস্তাব তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে তা মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারপর পেশ হবে বিধানসভায়।
বর্তমানে ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে মালিককে ৫ বছরের জন্য কর দিতে হয়। শোরুম থেকে গাড়ি বের করার আগেই মিটয়ে দিতে হয় গাড়ির কর। গাড়ি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলে তার কর, অডিও-ভিডিও কর এবং গাড়ির বীমা বাবদ অর্থ, এর মধ্যে গাড়ির বীমার মাসুল, গাড়ির দামের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। বাকি সব কর নির্ধারিত হয় কিউভিক ক্যাপাসিটি বা সিসির ওপর।
এর ফলে গাড়ি ৮০০সিসির হলে করের পরিমাণ এক, ১৪০০ সিসির হলে আরেক। কিন্তু নতুন প্রস্তাবে পরিবহন দফতর চাইছে, ৫ বছর নয়, গাড়ির পূর্ণ জীবন ধরা হচ্ছে ১৫ বছরের।
আর এই ১৫ বছরের জন্য শুরুতেই কর মিটিয়ে দিতে হবে। শীতাতপ যন্ত্র বা অডিও-ভিডিও কর দেওয়ার আর প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র গাড়ির কর দিলেই হবে। আগে করের পরিমাণ গাড়ি সিসির নির্ভর করত।
আগে গাড়ির দামের ব্যাপক পার্থক্য হলেও সিসি এক হওয়াতে করের পরিমাণও একই হত। নতুন প্রস্তাব কার্যকরী হলে তা আর হবে না। যার গাড়ি যত বেশি দামের, তাকে তত বেশি পরিমাণ কর দিতে হবে।
নয়া প্রস্তাব কার্যকর হলে কর ফাঁকি যেমন রোধ করা যাবে, তেমনই আয়ও বাড়বে বলে মনে করছেন পরিবহন দফতরের কর্তারা।
রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন নিগমগুলোর ভর্তুকি কমানোর পাশাপাশি পরিবহন দফতরের আয় বাড়নোর উদ্যোগও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র। সেই লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১২
সম্পাদনা : আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসটেন্ট আউটপুট এডিটর