ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

রাজ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ইসির তত্ত্বাবধানে

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১২

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন আপাতত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে হবে।

উচ্চ শিক্ষা সংসদ যতদিন না পর্যন্ত নির্বাচনী নির্দেশিকা তৈরি করতে পারছে ততদিন এই প্রক্রিয়া চলবে বলে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে।



এর ফলে পূর্বের সব মামলা, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ছিল তা খারিজ হয়ে গেল বলে আদালত জানায়। ৫টি কলেজের নির্বাচনের ওপরে যে স্থগিতাদেশ ছিল তাও উঠে গেল।

ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে স্বাধীন ও অবাধ করতেই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক তপেন সেন। বেশকিছুদিন ধরে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কলেজ নির্বাচনে সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই এদিন আদালত স্বতপ্রনোদিত হয়ে এই রায় দেয়।

ছাত্রছাত্রীরা ভবিষ্যতের নাগরিক। তারা মন দিয়ে পড়াশুনা করুক, রাজনৈতিক দল থেকে তারা দূরে থাকুক। ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্নভাবে ছাত্রদের জন্য হোক বলেও মত প্রকাশ করেন বিচারক।

লিন্ডো কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাদার পার্টি থেকে ছাত্ররাজনীতিকে আলাদা করা হোক। কিন্তু তা মানতে রাজি নয় কোনো রাজনৈতিক দলই। অথচ কলকাতার বুকে সেন্টজেভিয়ার্স ও লেডিব্রেবন কলেজে স্বাধীন নির্বাচন হয়।

২১শে ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকার ৭ সদস্যের উচ্চ শিক্ষা সংসদ তৈরি করেছেন। তার নেতৃত্বে আছেন সুগত মার্জিত। এরা যতদিন না নির্বাচনী নির্দেশিকা তৈরি করতে পারছেন ততদিন এই নজরদারি চলবে।

এদিন সিপিএমের ছাত্র নেতা ঋতব্রত ব্যানার্জি বলেন আজকের রায় প্রমাণ করে সরকারের কাজের ওপরে আদালতের আস্থা নেই।

অন্যদিকে তৃণমূলের নেতা বৈশ্বানর চ্যাটার্জি বলেন, আদালতের রায় তিনি দেখেননি। বিগত চৌত্রিশ বছরে ছাত্ররা ভোট দিতেই পারতো না কিন্তু এখন তা পারছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।