আগরতলা (ত্রিপুরা): আগরতলার বাংলাদেশ ভিসা অফিসকে সহকারী হাইকমিশনারের অফিসে উন্নীত করা হচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সহকারী হাই কমিশনের অফিসে উন্নীত করার জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে কুঞ্জবনের বর্তমান ভিসা অফিসকেই।
উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলে বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ। এসব কারণেই উৎসাহিত হয়ে বাংলাদেশ সরকার আগরতলার ভিসা অফিসকে সহকারী হাইকমিশনারের অফিসে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, সহকারী হাই কমিশনের অফিস ঘোষণার মধ্য দিয়ে আসলে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে কিছুটা কূটনৈতিক বার্তা দিতে চায়। সে বার্তা হল-“ দু’দেশের সম্পর্ক মজবুত রাখার দায়িত্ব দু’দেশের”। কারণ, বাংলাদেশ যদি আগরতলায় এ ধরনের একটি অফিস খোলে তবে দিল্লিকেও বাংলাদেশে এ মর্যাদার এ ধরনের একটি দপ্তর খুলতে হবে।
কিছু দিন আগে মুম্বাইতে ডেপুটি হাই কমিশনের অফিস গড়ার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তারপর ভারতকেও চট্টগ্রামে এ ধরনের একটি অফিস খুলতে হয়।
তবে আগরতলায় যে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের অফিস হচ্ছে এটা প্রায় পরিষ্কার। কিন্তু কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে তা এখনই কেউ বলতে পারছে না।
বর্তমানে আগরতলা ভিসা অফিস থেকে প্রতি দিন গড়ে প্রায় একশ’ ভিসা দেওয়া হচ্ছে। সহকারি হাই কমিশনের অফিস হলে আগরতলার গুরুত্ব ও মর্যাদা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন গুয়াহাটি, কলকাতা ও মুম্বাইতে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের অফিস রয়েছে। আর দিল্লিতে আছে বাংলাদেশ হাই কমিশনের অফিস। বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনের অফিস ভারতের কোথাও নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১২