আগরতলা (ত্রিপুরা) : বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে আমন্ত্রণ করায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ঢাকার পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বিধানসভার বিরোধী দল নেতা রতনলাল নাথ প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানিক সরকারের কী ভূমিকা ছিল? যার কারণে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে?’
কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে রাজ্য সরকার ইতিহাস বিকৃত করছে।
মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ১২৯ জন বিদেশি বন্ধুকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই তালিকায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর নামও রয়েছে।
তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর নাম থাকাতেই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, রাজ্যের আরো অনেকে ছিলেন যাদের বিরাট অবদান ছিল বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময়। কিন্তু তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতারা। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই প্রকৃত নাম বাদ দেবার বিষয়টি রাজ্য সরকারের ইচ্ছাতেই হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঢাকার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব বিষয়। বাংলাদেশ সরকার কাদের নিমন্ত্রণ জানাবে বা কাদের সম্মানিত করবে সেটি বাংলাদেশ সরকার ঠিক করেছে। তাই ত্রিপুরা সরকার বা কোনো ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত অথবা সরকারি ক্ষমতায় এ ধরনের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার প্রশ্নই আসে না।
এদিকে সিপিআই (এম) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এক বিবৃতিতে বলেছে, মানিক সরকার সম্মান পাওয়াতে কংগ্রেস একাংশের নেতা যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছে তা অত্যন্ত অবমাননাকর ও অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচয়। কংগ্রেস নেতাদের এ ধরনের শালীনতা বর্জিত বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন তারা।
বাংলাদেশ সময় : ১৩৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১২
সম্পাদনা : রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর