কলকাতা: ভারতের রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ ঘিরে জল্পনা-কল্পনা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার দীনেশ ত্রিবেদীকে পদত্যাগ করার জন্য তৃণমূল সাংসদ ও লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেন।
এ ফোনের উত্তরে দীনেশ ত্রিবেদী জানান, পদত্যাগ করতে তার আপত্তি নেই। তবে দলের পক্ষ থেকে অথবা তৃণমূল নেত্রীর পক্ষ থেকে তার ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ ফ্যাক্স মারফত জানাতে হবে। তাছাড়া দলের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে নির্দেশ দিলেও তিনি পদত্যাগ করতে পারেন।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন করার বিষয়টি স্বীকার করে জানানো হয় যে, রেলমন্ত্রী হওয়ার সময় দল বা তৃণমূল নেত্রীর পক্ষ থেকে লিখিতভাবে দীনেশ ত্রিবেদীকে এ বিষয়ে জানানো হয়নি। ফলে পদত্যাগের জন্য লিখিতভাবে বা প্রকাশ্যে জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে মুখ্য সচেতকের মাধ্যমে দলের অভিমত জানানোটাই যথেষ্ঠ।
রেল বাজেটে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণার পর তৃণমূলের বিভিন্ন মহল থেকে রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বেশ কয়েকজন তাকে ভর্ৎসনাও করেন। এ বিষয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রেলমন্ত্রক থেকে দীনেশ ত্রিবেদীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠিও লেখেন। তবে রেলমন্ত্রীকে সরাসরি পদত্যাগ করতে বলা হয়নি।
রেল মন্ত্রিত্ব টিকে থাকা নিয়েও টানাপড়েনের মধ্যে দীনেশ ত্রিবেদী জানান, প্রধানমন্ত্রী বা তৃণমূল নেত্রী তাকে নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি পদত্যাগ করবেন। তবে এখনো পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বা তৃণমূল নেত্রীর কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশ আসেনি। তবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনের পর রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি ফের উস্কে দিয়েছে ভারতীয় রাজনীতিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭,২০১২
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর