নয়াদিল্লি : ভারতের গোর্খা রেজিমেন্টের জন্য সেনা সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল নেপাল সরকার।
ইতোমধ্যেই নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রককে সিদ্ধান্ত কার্যকর করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতের গোর্খা রেজিমেন্টের জন্য আর সেনা সরবরাহ করা হবে না, নেপাল সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর স্বভাবতই এই প্রশ্ন উঠছে। ‘নেপালস ফরেন পলিশি ইন চেঞ্জড কন্টেক্সট ২০১২’ এই রিপোর্টটি সংসদীয় কমিটি অনুমোদন করার পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রকের। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিদেশে সেনা সরবরাহ করে সামান্য কর্মসংস্থান হয় বটে, কিন্তু তাতে দেশের সম্মান বৃদ্ধি ঘটে না।
ভারতের মতো যুক্তরাজ্যেও রয়েছে গোর্খা রেজিমেন্ট। এই সিদ্ধান্তে ধাক্কা খাবে দু’দেশই।
যদিও ভারতের সাবেক এক সেনাকর্তাদের দাবি, যুক্তরাজ্যে এ নিয়ে সমস্যা হলেও ভারতে তার কোনো প্রভাব পড়বে না।
ভারত এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও কাঠমাণ্ডুর এই পদক্ষেপ ঘিরে এখন জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রভাব পড়তে পারে ভারত-নেপাল সম্পর্কে।
যদিও কাঠমাণ্ডুর এই পদক্ষেপে খুশি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
তাদের বক্তব্য, এ দেশের প্রকৃত গোর্খাদের আত্মপরিচয় এখন সঙ্কটের মুখে। কারণ, নেপাল-ভারত উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে ওপারের নেপালিভাষীদের অবাধ প্রবেশ। ফলে কোন নেপালিভাষী এ দেশের নাগরিক, আর কারা নেপালের, এই প্রশ্নেই দেখা দেয় বিভ্রান্তি।
মোর্চার অভিযোগ, এই বিভ্রান্তির শিকার হন ভারতের গোর্খারা। মোর্চার দাবি, আর উন্মুক্ত সীমান্ত নয়। এবার শুরু হোক কড়াকড়ি।
বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার গোর্খা কর্মরত ভারতের সেনাবাহিনীতে। আর ২০ হাজারের মতো গোর্খা রয়েছে আধা সেনায়।
ভারতীয় সেনাসূত্রের দাবি, যোদ্ধা হিসেবে গোর্খারা উন্নতমানের. ফলে তাদের অভাব যাতে কোনোভাবে অনুভূত না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই এগোতে চাইছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনাসূত্রের খবর, খুব শিগগিরই তারা দার্জিলিঙে খুলতে চলেছে উন্নতমানের সামরিক বিদ্যালয়।
বাংলাদেশ সময় : ১১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১২
আরডি
সম্পাদনা : আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর