আগরতলা (ত্রিপুরা) : ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে চারটি বর্ডার হাট বা সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্র হবে। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী জিতেন্দ্র চৌধুরী।
ত্রিপুরা সরকার ও বাংলাদেশের বণিক সভার বহু দিনের দাবি ছিল এই অঞ্চলে বর্ডার হাট করার। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি না দেওয়ায় এ দাবি পূরণ হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বর্ডার হাট করার ব্যাপারে রাজি হয়েছেন।
এখন যে চারটি জায়গায় বর্ডার হাট গড়ার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হলো- কমলপুর, কসবা, শ্রীনগর ও রাগনা।
চারটি কেন্দ্র রাজ্যের চারটি জেলায়।
কিছু দিন আগে দিল্লির এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আনন্দ শর্মা জানিয়েছেন, আগামী অর্থ বছরেই ত্রিপুরাতে বর্ডার হাট করার জন্য তারা অর্থ এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেবেন।
তিনি বলেন, ‘বহু দিন ধরেই এ অঞ্চলের মানুষ বর্ডার হাট করার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিছু দিন আগেই মেঘালয় বাংলাদেশ সীমান্তে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বর্ডার হাট গড়েছে। আগামী অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই আরো একটি সীমান্ত বাজার করা হবে ওই রাজ্যে। ’
মেঘালয়ে প্রথম এ অঞ্চলের বর্ডার হাট গড়ে তোলা হয়। কিন্তু মেঘালয়ের বর্ডার হাট বা সীমান্ত বাজার খুব বেশি জনপ্রিয় হয়নি বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এর অন্য কারণও আছে। মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতিগত বহু দূরত্ব আছে। ভাষা তার অন্যতম। তাছাড়া ওই দু’ জায়গার খাদ্যাভাসের মধ্যেও বহু পার্থক্য বিদ্যমান। ফলে সেখানে এ ধরনের বাজার জনপ্রিয় হওয়ার কিছু সমস্যা আছে।
কিন্তু ত্রিপুরায় সে সমস্যা নেই। ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের ভাষা এবং সংস্কৃতিগত অনেক মিল রয়েছে। এখানে সীমান্ত বাজার জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ত্রিপুরা সরকার কেন্দ্রের কাছে চারটি বর্ডার হাট গড়ার কথা বলেছিল। উত্তর, ধলাই, পশ্চিম এবং দক্ষিণ জেলায় একটি করে বর্ডার হাট করার দাবি জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ০৬০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১২
সম্পাদনা : জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর