ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দশ মাস পর বড়ছড়া শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
দশ মাস পর বড়ছড়া শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু

সুনামগঞ্জ: দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধ থাকার পর ফের কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের (বড়ছড়া, বাগলী ও চারাগাঁও) শুল্ক স্টেশন দিয়ে।  

শুল্ক স্টেশন বন্ধ থাকায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সেই সঙ্গে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় ২০ হাজার শ্রমিক ও পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার বড়ছড়া এলসি পয়েন্ট দিয়ে আমদানি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলখাছ উদ্দিন খন্দকার।

এসময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের, কোষাধ্যক্ষ জাহের আলী, সচিব রাজেস চক্রবর্তী, সদস্য হাসান মেম্বার, ব্যবসায়ী শংকর দাসসহ বিজিবি ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। এসময় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ সূত্রে জানা যায়, বড়ছড়া, বাগলী ও চারাগাঁও শুল্ক স্টেশন দিয়ে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়।  
২০১৪ সালে ভারতের মেঘালয়ের একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশগত ক্ষতির কথা বিবেচনা করে কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। পরে টানা প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকে কয়লা আমদানি।

এরপর পুনরায় আমদানি শুরু হলেও তা আর নিয়মিত হয়নি। চলতি বছরের মার্চ থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। গত প্রায় ১০ মাস ধরে আমদানি বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। সরকার ও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।

কয়লা আমদানি শুরুর সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের জানান, বছরে তিন-চার মাস চলে আমদানি আর আট-নয় মাস বন্ধ থাকে।  

অন্যদিকে কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় প্রায় ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে অন্যত্র চলে গেছেন। গত দশ মাস বন্ধ থাকায় পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কয়লা আমদানি শুরু হওয়ায় ভালো লাগছে।  

তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলখাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন, শুল্ক স্টেশন বন্ধ থাকলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়। রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এবং শুল্ক স্টেশনের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জীবন জীবিকার কথা বিবেচনা করে বড়ছড়া, বাগলী ও চারাগাঁও শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি সারা বছর চালু থাকে তার জন্য সরকার যেন গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় সেই দাবি জানাই।

রাজস্ব কর্মকর্তা বড়ছড়া আবুল হাসেম ভূঁইয়া জানান, এলসির মাধ্যমে কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।