ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর বিপুল সুযোগ রয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর বিপুল সুযোগ রয়েছে’

ঢাকা: বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, গভীর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যথেষ্ট বেড়েছে এবং আগামীতে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে, যা কাজে লাগানো হলে উভয় পক্ষই উপকৃত হতে পারে।

সোমবার (১৫ মে) ঢাকায় অস্ট্রেলিয়া সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী টিম ওয়ার্টস এমপির সঙ্গে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় অস্ট্রেলিয়ান ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ সেকশনের পরিচালক ব্রেন্ডন হজসন এবং সহকারী সচিব, ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল মেগান জোনস লুইসা বোচনার, উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রীর কার্যালয় এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।

তারা অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাব্য ক্ষেত্রসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা এবং প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখার প্রস্তুতিসহ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান অস্ট্রেলিয়া সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রীকে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমরা অস্ট্রেলিয়া থেকে আরও কটন ও উল আমদানি করতে আগ্রহী।

বিজিএমইএ সভাপতি অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রীকে আগামী ১৮ জুলাই অস্ট্রেলিয়ায় বিজিএমইএর উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিট বিষয়ে অবহিত করেন এবং অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহযোগিতা দেওয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়া টেক্সটাইল, পোশাক, ফ্যাশন ডিজাইন এবং ব্যবসা প্রভৃতি বিষয়ে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বিকাশে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফ্যাশন ইনস্টিটিউটগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন।

তিনি বাংলাদেশের জন্য শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।