ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এখনও জমে ওঠেনি গাবতলীর হাট, বড়-মাঝারি গরু বেশি

মিরাজ মাহবুব ইফিতি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এখনও জমে ওঠেনি গাবতলীর হাট, বড়-মাঝারি গরু বেশি

ঢাকা: আর মাত্র পাঁচদিন পর উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে এখনও জমে ওঠেনি গাবতলীর পশুর হাট।

হাটে বড় ও মাঝারি ধরনের গরু বেশি। এখনও আসেনি মধ্যবিত্তদের পছন্দের ছোট গরু। হাট কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদের দুদিন আগে আসবে ছোট গরু। ছোট গরু এলে সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যায়। চাহিদা বেশি থাকা হাটে ছোট গরু বেশি সময় থাকে না।

শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে গাবতলী হাটে গিয়ে দেখা যায়, মূল গেটসহ হাটের প্রস্তুতি শেষ। তিনটি ওয়াচ টাওয়ারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ব্যাংকগুলোর জন্য বুথ তৈরির কাজও শেষ করেছে হাট কর্তৃপক্ষ। তবে বুথগুলোতে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে দেখা যায়নি।

হাট ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বড় ও মাঝারি ধরনের গরু এসেছে। কিন্তু হাটে এখন ছোট গরু আসেনি। শুক্রবার সকাল ও দুপুরের তুলনায় বিকেলে হাটে বেশি ভিড় দেখা যায়। এ ভিড়ের মধ্যে ক্রেতার সংখ্যা ছিল খুবই কম। বেশিরভাগ ছিল দর্শনার্থী ও কিশোর বয়সের ছেলেদের আনাগোনা।

কুষ্টিয়ার মেহেরপুর থেকে ১৪টি গরু নিয়ে গাবতলী হাট এসেছেন ব্যাপারী শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে হাটে এসেছি। এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি। আমার গরুগুলো বড় ও মাঝারি ধরনের। এবার কোনো ছোট গরু আনিনি। আমার সব পালা গরু। দুটি কিনেছিলাম হাটে আসার ৮ মাস আগে। আমার গরুর দাম সর্বোচ্চ ৩ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে।  

তিনি বলেন, গতবার ১৭টি গরু নিয়ে এসে তেমন লাভ করতে পারিনি। সবকিছুর খরচ দিয়ে মাত্র লাভ করেছিলাম দেড় লাখ টাকা। হাটে বেচাকেনা কম। মনে হয় ঈদের ছুটিতে বেচাকেনা বাড়বে।

মোহাম্মদপুর থেকে গাবতলী হাটে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী শিপন আহমেদ বলেন, গরু ব্যাপারীরা অনেক দাম চাচ্ছে। বলছেন, গরুর খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়তি। আমি একটি মাঝারি ধরনের গরু দেড় লাখ টাকা দাম বললাম তাও দিল না। ব্যাপারী চাইছেন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আজকে যদি দাম ধরে হয় কিনব, নয়তো বাড়ি ফিরে যাব।  

শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে গাবতলী হাট এসেছেন ব্যাপারী মোহাম্মদ ফজলুল হক। তিনি বলেন, ১১টি গরু হাটে এসেছি, এখন পর্যন্ত একটিও বিক্রি করতে পারিনি। হাটে গরুর ক্রেতা কম। মনে হয় আগামী রোববার থেকে ক্রেতা আসা শুরু করবে। এখন মানুষ দেখতে আসছে বেশি।  

গাবতলী পশুর হাটের ব্যবস্থাপক আবুল হাসেম বাংলানিউজকে বলেন, হাট প্রস্তুত। একটু কাজ বাকি আছে। ব্যাপারীরাও তাদের পশু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। তবে এখনও হাট জমে ওঠেনি। আশা করছি, আগামী রোববার থেকে হাট জমে উঠবে। তবে বেশি জমজমাট হবে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পরে।

তিনি বলেন, এবার হাটে ১১টি হাসিল ঘরের পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য র‍্যাব, পুলিশ ও সিটি এসবির বুথ এবং ব্যাংকের জন্য বুথ থাকবে। ওয়াচ টাওয়ার থাকবে সাত থেকে আটটি। বেচাকেনা শুরু হলে সবগুলো নির্মাণ করা হবে। সার্বিক তদারকির জন্য চেকপোস্ট থাকবে চারটি। পাশাপাশি দুই শিফটে স্বেচ্ছাসেবক এবার হাটে দায়িত্ব পালন করবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসেম বলেন, ঈদের দুদিন আগে ছোট গরু আসবে হাটে। ছোট গরু এলে সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যায়। চাহিদা বেশি থাকায় হাটে ছোট গরু বেশি সময় থাকে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।