ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: ডিএসইর চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: ডিএসইর চেয়ারম্যান

ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বাজার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে এবং যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে৷ আমাদের উদ্দেশ্য পুঁজিবাজারকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু এসব কথা বলেন।

নতুন আইপিও ও নতুন প্রোডক্ট আনার ব্যাপারে ডিএসইর চেয়ারম্যান জোর তাগিদ দিয়ে বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ এবং ডিএসই এদের মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে চাই। পুঁজিবাজারের অন্যতম স্টেকহোল্ডার হলো মার্চেন্ট ব্যাংক৷ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আপনাদের দায়িত্ব অনেক।  

তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কমিউনিকেশন বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় রুলস রেগুলেশন পরিবর্তন করার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। বাজারের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি ডিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ডিবিএ একসঙ্গে কাজ করে তাহলে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে।

অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, আমরা এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে পুঁজিবাজারের স্বার্থে প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা করছি। পলিসিগত যে সব পরিবর্তন আনতে হবে সেসব বিষয়ে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদার করতে হবে। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হবে। নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

সাক্ষাতে মার্চেন্ট ব্যাংকের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, বাজারে বর্তমানে বেশকিছু সমস্যা কাজ করছে। এর মধ্যে মাল্টিপল ট্যাক্স, ফ্লোর প্রাইস, গুণগত মানসম্পন্ন আইপিওর অভাব, আইপিও প্রাইসিং সিস্টেম, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, মার্জার একুইজেশন, পলিসিগত প্রতিবন্ধকতা, এটিবি মার্কেট গতিশীল করা, বিভিন্ন রুলস রেগুলেশন, বাজার পরিস্থিতি, কমপ্লায়েন্স, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, গবেষণায় জোর দেওয়া ইত্যাদি বিষয় অন্যতম।  আমরা আশা করি, বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সব রেগুলেটর সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের সহযোগিতা সবসময় আপনাদের সঙ্গে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, ডিএসইর পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. আফজাল হোসেন এবং রুবাবা দৌলা, মো. শহীদুল ইসলাম, কাওসার আহমেদ, মো. শাকিল রিজভী, শরিফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি রোজারিও, মার্চেন্ট ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রিয়াদ মতিন, সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসএমএকে/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।