ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘নকল পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
‘নকল পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে’

সিলেট: নকল প্রসাধনী সামগ্রী, ওষুধ ও সিগারেট পণ্যসহ অন্যান্য নকল পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে।

নকল প্রতিরোধে এর উৎসে যেতে হবে। উৎসে গিয়ে বন্ধ করলে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব।

রোববার (৭ জুলাই) সিলেট মহানগরে ‘নকল পণ্য প্রতিরোধ ও বর্জনে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এ সেমিনারের আয়োজন করে।  

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম, বিএটি বাংলাদেশের হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স সাবাব আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
 
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে নকল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় যেমন অপরাধ, তেমনি নকল পণ্য ক্রয় ও তা ব্যবহার করাও অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু বাংলাদেশে নকল পণ্য ক্রয় ও তা ব্যবহার করাকে অপরাধ মনে করা হয় না। যার ফলে কম মূল্যে বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের নকল পণ্যে বাজার সয়লাব হয়ে আছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সমাজের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের যার যার অবস্থান থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই নকল পণ্য উৎপাদিত হয়, কিন্তু তা সাধারণত নামি-দামি ব্র্যান্ডের পোশাক, ঘড়ি ও বিভিন্ন বিলাসী পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশে খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, শিশুখাদ্য, প্রসাধনী ইত্যাদিও নকল হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, লোভনীয় ছাড়ে বেশিরভাগ ভেজাল থাকে। এ বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। তা ছাড়া আরেকটি বিষয় হলো আমাদের দেশের ব্র্যান্ডের পণ্য কেউ কিনতে আগ্রহী হন না। বিদেশি পণ্য কিনতে গিয়ে বেশিরভাগ নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হতে হয়। কম মূল্যের পণ্যের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএটি বাংলাদেশের হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স সাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, নকল পণ্য মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু বাজারের দোকানে অভিযান পরিচালনা করলে হবে না। সোর্স বা উৎসে যেতে হবে। নকল যদি আসলেই থামাতে হয় উৎসে কাজ করতে হবে। তাহলেই নকলের তীব্রতা কমিয়ে আনা সম্ভব।

সেমিনারের বিষয়বস্তুর ওপর সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের যুগ্ম কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মো. ফয়সাল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৪
এনইউ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।