ঢাকা: বাহারি ও সুস্বাদু ইফতার আয়োজন নিয়ে জমে উঠেছে আইসিসিবির ইফতার বাজার। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ও মুখরোচক খাবারের অনন্য সমারোহ থাকায় নগরবাসীর কাছে পছন্দের তালিকায় অন্যতম আইসিসিবির ইফতারসামগ্রী।
ইফতারের নিত্যদিনের মেনুতে ভিন্নতা আনতে অনেকেই এই ইফতার বাজার থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন নেহারি, তেহারি, কাচ্চি, রোস্ট, কাবাব থেকে শুরু করে ছানার জিলাপি ও রসগোল্লার মতো বিভিন্ন পদের মিষ্টান্ন আইটেম।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) হল ৫ পুষ্পাঞ্জলিতে সরেজমিনে ঘুরে এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যায়।
এদিন বিকেল থেকেই আইসিসিবির ইফতার বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়। সন্ধ্যার আগ-মুহূর্তে বাজারে ক্রেতাদের সমাগম আরও বেড়ে যায়।
এদিন রমজানের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কাবাব, তেহারি, বিরিয়ানি, চপ, জিলাপি, রসগোল্লাসহ বাহারি লোভনীয় ইফতারের টাইটেম বিক্রি করতে দেখা গেছে বিভিন্ন স্টলে। বাজারে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানকার খাবারের গুণগত মান ও বৈচিত্র্য তাদের আকর্ষণের মূল কারণ।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সুমাইয়া জাহান বলেন, পুরান ঢাকার ইফতারের আসল স্বাদ পেতে হলে এখানকার কাবাব-তেহারির বিকল্প নেই। প্রায়ই এই ইফতার বাজারে আসা হয়।
অফিসিয়াল কাজের ফাঁকে ইফতার কিনতে আসা এমন এক যুবক আরিফুল হক বলেন, সময় বাঁচাতে ও স্বাস্থ্যকর খাবার পেতে আইসিসিবির বাজার নির্ভরযোগ্য। এখানকার হাইজেনিক প্যাকেজিং ও খাবারের স্বাদ আমার পছন্দ।
খিলক্ষেতের বাসিন্দা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ইফতারে ভিন্নতা আনতে এ বাজার থেকে ছানার জিলাপি ও কাচ্চি কেনা আমার রুটিন হয়ে গেছে। শিশুরাও এখানকার খাবার খুব পছন্দ করে।
আইসিসিবির কর্তৃপক্ষ জানান, নতুন ঢাকার বাসিন্দাদের পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারির স্বাদ দিতে প্রতিবছর এ আয়োজন করা হচ্ছে। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের নিশ্চয়তা দিতে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। মান যাচাই ছাড়া এখানে কোনো খাবার বিক্রি করতে দেওয়া হয় না। ৩শ ফুট সড়কের পাশে হওয়ায় যানজট এড়িয়ে সহজেই ক্রেতারা এসে ইফতার কিনে নিয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং সুবিধা থাকায় অনেকে গাড়ি রেখে ইফতার করছেন এখানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৫
ইএসএস/এএটি