ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

বরিশালের চামড়া সংগ্রহ শুরু, ভালো দাম পাচ্ছেন সংগ্রহকারীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫৯, জুন ৭, ২০২৫
বরিশালের চামড়া সংগ্রহ শুরু, ভালো দাম পাচ্ছেন সংগ্রহকারীরা

বরিশাল: স্থানীয় পর্যায় থেকে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ শেষে বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে বরিশালে এবারও চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

 যদিও গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রকারভেদে চামড়ায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।  

শনিবার (০৭ জুন) সকালে পশু কোরবানির পর থেকেই স্থানীয়ভাবে এলাকাভিত্তিক পশুর চামড়া সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। এবারও বিগত সময়ের মতো বেশি চামড়া সংগ্রহের কাজটি করছে এতিমখানা, মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোডিং এর লোকজন। আর তাদের সংগ্রহ করা চামড়া দুপুরের পর থেকে হাটখোলা ও পদ্মাবতি এলাকার পাইকারদের কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ীও কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের কাজটি করছেন।  

চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করতে আসা ব্যক্তিরা বলছেন, গত বছরে তুলনায় এ বছর চামড়ার দাম বেড়েছে। সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে সেই দামে চামড়া বিক্রি করতে পারছেন তারা। এ বছর সিন্ডিকেট না থাকায় চামড়ার ভালো দাম পেয়ে খুশি বিক্রেতারা।  

এদিকে মৌসুমি চামড়া বিক্রেতা জিল্লুর রহমান মাসুম জানান, বেশিরভাগ চামড়াই এবার মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে দান ক‌রে‌ছেন কোরবানি দাতারা। কিন্তু চামড়া আড়তদারদের কা‌ছে গিয়ে ভালো দাম পাচ্ছেন না তারা। প্রকারভেদে চামড়া ৫০০-৬০০ টাকা দরে কিনে নিচ্ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।  

যদিও ভালোমানের ও লবণ দেওয়া চামড়া ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। তবে এবারও অনাগ্রহ রয়েছে ছাগলের চামড়ায়। এবার ছাগলের চামড়ার বিনিময়ে তেমন টাকা দিতে চাচ্ছেন না আড়তদাররা।  

আড়তদাররা বলছেন, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে তাদের পূর্বের বকেয়া রয়েছে। মালিকরা তাদের বকেয়া পরিশোধ করছেন না। ফলে অর্থ সংকটে নগদ মূল্যে চামড়াও তেমনভাবে সংগ্রহ করতে পারছেন না। তারপরও এ বছর বরিশাল মহানগরীতে ৫০ হাজার পিস চামড়া সংগ্রহ করা যাবে বলে আশা করেন ব্যবসায়ীরা।  

হাইড অ্যান্ড স্কিন অ্যাসোসিয়েশন বরিশালের সভাপতি বাচ্চু মিয়া বলেন, গরুর চামড়া নিয়ে আসলে কাউকেই ফেরাতে চাচ্ছি না। দর-দাম করে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে ছাগলের চামড়ার পেছনে শ্রম দিয়ে সংরক্ষণ করতে যে খরচ হবে তা ট্যানারি মালিকরা দেবেন না।

এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।