দক্ষিণ-পূর্ব এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাজার সম্প্রসারণে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিয়েছেন দু’দেশের ব্যবসায়ীরা। এ জন্য আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাস্তবায়ন জরুরি বলেও মত দিয়েছেন তারা।
বুধবার (০৯ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে এফবিসিসিআই ও থাই-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের মধ্যে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা উঠে আসে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন রয়েল থাই অ্যাম্বাসির চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. পানম থংপ্রায়ুন।
এ সময় এফবিসিসিআই প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন, থাইল্যান্ড এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম বাণিজ্যিক হাব। অপরদিকে, বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল তরুণ ও দক্ষ জনশক্তি। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উভয় দেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, পর্যটন, স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ, অবকাঠামো, জ্বালানি এবং হালকা প্রকৌশলসহ বিভিন্ন খাতে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ বাড়ানো যেতে পারে।
হাফিজুর রহমান আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে এগিয়ে আসবে। এর মাধ্যমে পণ্য ও সেবা আমদানি-রপ্তানি যেমন বাড়বে, তেমনি বিনিয়োগেও আসবে গতি।
আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে (এফটিএ) সময়োপযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাজার ব্যবহারে এটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
রয়েল থাই অ্যাম্বাসির চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স পানম থংপ্রায়ুন বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দুই দেশ নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
এ ধরনের সভার মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং আরও মজবুত হবে বলে প্রত্যাশা তার।
সভায় থাই-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ, চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, আন্তর্জাতিক উইংয়ের প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি, থাই-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের নেতা এবং দুই দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জিসিজি/এসআইএস