দেশের কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য সৌদি আরব ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি নিলিমেটেড (কাফকো) থেকে ৭০ হাজার টন সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৫৪৮ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকা।
বুধবার (৬ আগষ্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও সৌদি আরবের মা আদেন’র মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে অনুযায়ী, এই সার আনতে ব্যয় হবে তিন কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৮৩ কোটি ৬২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৭৮১ ডলার।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
কাফকোর সঙ্গে চুক্তি অনুযয়ী, ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সারের জন্য ব্যয় হবে এক কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৬৪ কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার ২৫০ টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৪৪৮ দশমিক ৩৭৫ ডলার।
এ ছাড়া বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কনভারশন অব ওয়েট প্রসেস টু ড্রাই প্রসেস অব সিসিসিএল’ প্রকল্পের আওতায় এলএসটিকে ভিত্তিতে সিমেন্ট প্ল্যাট স্থাপন কাজের ব্যয় কমানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
প্রকল্পটির ব্যয় ২০ লাখ ১৩ হাজার ৩৫৫ মার্কিন ডলার কমানো হয়েছে। এই প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ছিল সাত কোটি ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮শ ডলার। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে সাত কোটি ৭৭ লাখ ৬২ হাজার ৪৪৫ ডলার। প্রকল্পটির কাজ করছে চীনের মেসার্স নানজিং সি-হোপ সিমেন্ট ইঞ্জিনিয়রিং গ্রুপ কোম্পানি লিমেটেড।
জিসিজি/এএটি