ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

সম্ভাবনায় বরিশাল বিসিক, গ্যাস সুবিধা না থাকায় আগ্রহ নেই উদ্যোক্তাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১৫, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫
সম্ভাবনায় বরিশাল বিসিক, গ্যাস সুবিধা না থাকায় আগ্রহ নেই উদ্যোক্তাদের বরিশালের বিসিক শিল্পনগর।

বরিশালের বিসিক শিল্পনগরে বিনিয়োগের তেমন আগ্রহ নেই দেশের বড় বড় উদ্যোক্তাদের। পদ্মা সেতু হওয়ার পর বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বরিশালমুখী হলেও গ্যাস সুবিধা না থাকায় বড় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ থেকে পিছিয়েছেন।

এ ছাড়া বরিশাল বিসিকে কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ফায়ার স্টেশন এবং শিল্প পুলিশ নেই, ফলে খালি পড়ে আছে বরিশাল বিসিকের শতাধিক প্লট।

উদ্যোক্তারা বলেছেন, বরিশাল বিসিকে সুবিধা থাকলেও নেই গ্যাসের সুবিধা। তাই সবাই ঢাকার পাশাপাশি সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগমুখী হচ্ছেন। অথচ বরিশাল থেকে স্বল্প দূরত্বে পায়রাবন্দর, এই কারণে পণ্য আমদানি-রপ্তানিও সহজ।

উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান বলেন একদশক ধরেই শুনে আসছি যে, ভোলার গ্যাস বরিশালে আনা হবে, কিন্তু কোনো ধরনের উদ্যোগ নেই। তাই বরিশাল অঞ্চলের শিল্প উদ্যোক্তারাও উত্তরাঞ্চলের দিকে আগ্রহী হচ্ছেন। অথচ আমরা বরিশালে থাকতে পারলেই বেশি লাভবান হতে পারবো। অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানও এখানে হতো।

বর্তমানে বরিশাল বিসিকে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা থাকলেও, প্রতি বর্গফুটের জন্য সেবা চার্জ আড়াই টাকা এবং প্রতি শতাংশের জন্য ১৫০ টাকা ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার পরও শিল্পনগরী অবহেলিত। এমনকি বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।  

বরিশাল বিসিকের শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. গোলাম রসুল বলেন, বিসিকের শিল্পনগরীতে বর্তমানে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে। বিসিক যদি ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সব সেবা দিতে পারে তাহলে এক্ষেত্রে শিল্পনগরীর উদ্যোক্তাদের সুবিধার নিশ্চয়তা থাকতো। যদিও বিসিক ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে, কিন্তু সেখানে পুরো সেবা দেওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি বিসিকের শিল্পনগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাও দরকার।

তিনি আরও বলেন, বিসিক বর্তমানে উদ্যোক্তাদের নানামুখী সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বরিশাল বিসিকের শিল্পনগরীর অবকাঠামোগত সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এখানে উন্নয়নমূলক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। যা নতুন উদ্যোক্তাদের শিল্প নগরীমুখী হতে আকৃষ্ট করছে। আমাদের লক্ষ্য রয়েছে খালি প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া। এরমধ্যে কয়েকজন যোগাযোগও করেছে। বিসিক শিল্প নগরীতে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে অনেক বেকারত্ব কমবে।

বিসিকের তথ্যমতে, ১৯৬০ সালে প্রায় ১৩১ একর জমির ওপর বরিশাল বিসিক শিল্প নগরী করা হয়। মোট চারশ ৭৭টি প্লট আছে, এর মধ্যে উন্নত তিনশ ৫২টি ও অনুন্নত একশ ১৮টি। প্লটভুক্ত জমির পরিমাণ ৯৭ দশমিক ৯৭ একর। বরাদ্দ হওয়া প্লটে ১৭৭টি শিল্প ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্যে তৈরির ইউনিট ৫৪টি, বস্ত্র ও বস্ত্রজাত পণ্যের ইউনিট ১৯টি, প্রকৌশলের ২২টি, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স ৬টি, কেমিক্যাল ৩৫টি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ৬টি, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ১২টি, বন ও বনজ ১০টি এবং বিবিধ ১৩টি ইউনিট উৎপাদনে রয়েছে। বর্তমানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৮৯৭ দশমিক ৪২৬ কোটি টাকা।

এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।