পঞ্চগড়ের সড়ক পথে চারদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। এ বন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে আসছে।
নেপালে সরকার পতনের দাবির আন্দোলন থেকে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া একাধিক পাটবাহী ট্রাক বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আটকা পড়ে আছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও নেপালের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে কেবল পাট রপ্তানিতে। ফলে কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাট নিয়ে আসা চালকরা মানবেতর অবস্থায় বন্দরে দিন কাটাচ্ছেন।
চালক রনি ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পাটের ট্রাক নিয়ে সাতদিন ধরে আমরা বন্দরে পড়ে আছি। কর্তৃপক্ষ বলছেন সমাধানের চেষ্টা চলছে। কিন্তু কবে নেপালে যেতে পারবো সেটা নিশ্চিত না। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে- গাড়ি নিয়ে আমরা ফেরৎও যেতে পারছি না।
ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, কয়েক মাস নানা প্রতিবন্ধকতার পর বন্দর স্বাভাবিকভাবে চলতে শুরু করেছিল। তবে নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতায় রপ্তানি কার্যক্রম আবারও বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে, চলতি অর্থবছরের শুরুতে ভারত-ভুটানের দ্বন্দ্ব ও দাম নিয়ে মতবিরোধের কারণে দীর্ঘদিন ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। পরে ভুটান থেকে আমদানি চালু থাকলেও সম্প্রতি ভারত থেকেও আবার আমদানি শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই নেপালের আন্দোলনের কারণে রপ্তানি করা পাটের ট্রাকগুলো আটকে পড়েছে বাংলাবান্ধা বন্দরে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর লতিফুলবাড়ি বাংলানিউজকে জানান, আলু রপ্তানি চলছে। তবে পাট রপ্তানির অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। যেকোনো সময় অনুমোদন মিলতে পারে।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বন্দরে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক আমদানি এবং ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক রপ্তানি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক। তবে নেপালের আন্দোলনের কারণে কিছু পাটবাহী ট্রাক আটকা আছে। আমরা আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
আরএ