ঢাকা: বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য জগতে বিশ্বস্ত নাম নাবিস্কো। একসময় নাবিস্কোর বিস্কুট ও লজেন্স ছিল সব বয়সি মানুষের প্রিয়।
এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আকর্ষণীয় আর সুস্বাদু প্রায় ৬০ রকমের খাদ্যপণ্য এনেছে নাবিস্কো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ফ্যাক্টরি লিমিটেড। নাবিস্কোর স্বাদ আবারও দেশের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় (ডিআইটিএফ) প্যাকেজ নিয়ে এসেছে তারা।
নজরকাড়া প্যাকেজ কিনতে নাবিস্কোর ৪১ নং প্রিমিয়ার প্যাভেলিয়নে ক্রেতাদের ভিড় যেন লেগেই রয়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে মহিলা আর শিশুরাই যে বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মেলায় নাবিস্কো রকমারি, ইত্যাদি ও টক-জাল-মিষ্টি সামগ্রী তিনটি প্যাকেজ দিচ্ছে। দুই প্যাকেট লজেন্স ও ১২ প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে রকমারি প্যাকেজে ১০ শতাংশ ছাড়ে দিচ্ছে ২শ’ ৫০ টাকায়।
বিভিন্ন কোয়ালিটির ১০ প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে ইত্যাদি প্যাকেজে ১০ শতাংশ ছাড়ে দিচ্ছে ২শ টাকায়। তিন রকম লজেন্স আর আট রকমের বিস্কুট নিয়ে ২শ’ টাকায় দিচ্ছে টক-ঝাল-মিষ্টি প্যাকেজ।
মেলা উপলক্ষে এসোরটেড ও ক্রাঞ্চি নামের দু’টি স্পেশাল বিস্কুটের টিন এনেছে নাবিস্কো। নাবিস্কো কেক, রুটি, বাটার কুকিজ, মিল্ক ক্যান্ডি, ম্যাংগো ক্যান্ডি, ম্যাংগো লজেন্স তো রয়েছেই। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মেলায় নাবিস্কোর চমক ক্রিম ক্রেকার্স বিস্কুট।
ক্যান্ডি স্টাইলের লজেন্স দেখেই নাবিস্কো প্যাভেলিয়নে ঢুকে পড়লেন মা সোহানা নূরের সঙ্গে মেলায় আসা সাতবছরের তিনিন। ছোট্ট শিশু তিনিনের আবদার ফেলা দায়!
শেষে বাধ্য হলেন লজেন্স কিনতে। তবে শুধু লজেন্স নয়, মাত্র ২শ‘ ৫০ টাকায় লজেন্সের সঙ্গে পেলেন ১২ প্যাকেট বিভিন্ন কোয়ালিটির বিস্কুট।
সোহানা বাংলানিউজকে জানান, ছোট্ট শিশুর আবদার তো রাখতেই হয়। নাবিস্কোর লজেন্স-বিস্কুট খেয়েই তো আমরা বড় হয়েছি।
নাবিস্কোর পণ্য স্বাদে অনন্য ও স্বাস্থ্যসম্মত বলে মনে করেন তিনি।
নাবিস্কোর টক-ঝাল-মিষ্টি লজেন্স ও ক্যান্ডি পছন্দ সরকারি চাকরিজীবী ইসমাইল হোসেনের দুই কন্যা সালি ও ইমুর।
মেলায় ঘুরতে এসে নাবিস্কো প্যাভেলিয়ন দেখেই ঢুকে পড়লেন ইসমাইল। ২শ’ টাকায় তিন রকম লজেন্স কিনে সঙ্গে পেলেন সুস্বাদু আট প্যাকেট বিস্কুট।
ইসমাইল বাংলানিউজকে বলেন, আমার দুই সোনামনি নাবিস্কো লজেন্সের ভক্ত। এ লজেন্সে ক্ষতিকারক পদার্থ কম। মেলায় লজেন্স আর বিস্কুটে ছাড় পেয়ে আমি খুশি।
ষাটোর্ধ্ব লুৎফর রহমান মেলায় এসে নাবিস্কো গ্লুকোজ বিস্কুট কিনেই যেন স্মৃতিতে হারিয়ে গেলেন।
তিনি বলেন, ছোটবেলায় বাবা গ্লুকোজ বিস্কুট নিয়ে এলে ভাইবোনদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যেত। এখন ভাইবোনরা কাছে নেই, কিন্তু বিস্কুটটি আছে। এ বিস্কুটের মাঝে আমি যেন হারানো শৈশব ফিরে পাই!
নাবিস্কো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ফ্যাক্টরি লি. এর প্যাভেলিয়ন ইনচার্জ মো. তানজিরুল রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নাবিস্কোর পণ্য দেশের সব মানুষের কাছে আগেই পৌঁছে গেছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাবিস্কো পণ্যেও নতুনত্ব আনা হয়েছে।
আকর্ষণীয় ছাড় দেওয়ায় মেলায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
নাবিস্কোর মার্কেটিং অফিসার মো. জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, নাবিস্কোর পণ্যের প্রতি সবসময় মানুষের আস্থা রয়েছে। মেলায়ও বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
মেলায় এসোরটেড বিস্কুট, বাটার কুকিজ, মিল্ক ক্রিম, ক্রিম বিস্কুট, এলাচি ক্রিম, ফুড প্লাস বেশি সাড়া পাচ্ছে। দামে সাশ্রয়ী ও উন্নতমানের হওয়ায় এ চাহিদা বলে দাবি করেন তিনি।
ভিজিটে পুরস্কার দিচ্ছে পারটেক্স ফার্নিচার
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫