ঢাকা: মেলায় ফার্নিচার কিনলে ছাড়, উপহার কিংবা পুরস্কার পাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু কেবল ফার্নিচার দেখতে (ভিজিটে) এসে দর্শনার্থীদের পুরস্কার মেলাটা বেশ চমকপ্রদ!
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় (ডিআইটিএফ) এ চমকটাই রেখেছে পারটেক্স ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
মাসব্যাপী মেলায় র্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে পুরস্কারের পাশাপাশি নতুন ডিজাইন, কোয়ালিটি ও স্বল্পমূল্যে দেওয়া হচ্ছে ফার্নিচার। ফার্নিচারের ওপর থাকছে ১০ থেকে ১৮ শতাংশ ছাড়।
ডিআইটিএফ ১নং প্রিমিয়ার প্যাভেলিয়নে বসেছে পারটেক্স ফার্নিচার। ফার্নিচার দেখতে আসা ক্রেতাদের কুপন পূরণ করানোর পর একটি অংশ রেখে দেওয়া হচ্ছে।
প্রতি সপ্তাহে এ কুপন নিয়ে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেলে পারটেক্সের আর্কষণীয় সব পুরস্কার। ফলে মেলায় অন্য ফার্নিচার প্যাভেলিয়নের চেয়ে পারটেক্সে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর ভিড় বেশি।
এ বিষয়ে পারটেক্স ফার্নিচারের ডেপুটি ম্যানেজার (সেলস) অসক কুমার বাংলানিউজকে বলেন, পারটেক্স ফার্নিচারের ডিজাইন ও কোয়ালিটি অন্য ফার্নিচারের চেয়ে উন্নত।
তিনি বলেন, মেলায় ক্রেতার পাশাপাশি অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন। ক্রেতারা তো দু-একদিন দেখেই কিনবেন। এটা তাদের জন্য পারটেক্স ফার্নিচারের বিশেষ আকর্ষণ।
তিনি আরও বলেন, দর্শনার্থীরা আসলে কুপন পূরণ করিয়ে রেখে দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহ শেষে র্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে আকর্ষণীয় সব পারটেক্স ফার্নিচার।
গত সপ্তাহের র্যাফেল ড্র-তে একটি আলমারি দেওয়া হয়েছে। সামনে আরও আর্কষণীয় পুরস্কার দেওয়া হবে। র্যাফেল ড্র’র ফলে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের সাড়া বেশি বলে জানান তিনি।
মেলায় এবারও পারটেক্স ফার্নিচার নতুন মডেল ও স্বল্পমূল্যের বেশ কিছু বেডরুম ফার্নিচার, সোফা সেট, ডাইনিং সেট, কর্নার সেলফ ও মিরর কেবিনেট নিয়ে এসেছে।
সব ধরনের শ্রেণীপেশার মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে বাসা ও অফিসের নিয়মিত আর্কষণীয় ফার্নিচার তো আছেই।
ফার্নিচারে সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে অসক কুমার বাংলানিউজকে বলেন, লেমিনেশন বোর্ড ১৮ শতাংশ, চেয়ার ১৫ শতাংশ ও শিটে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতারা তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে একবছরে জিরো ইন্টারেস্টে পেমেন্টের সুযোগ পাচ্ছেন।
মেলার সৌজন্যে এ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মেলা ছাড়াও সব শো-রুম থেকে ক্রেতারা এ সুযোগ পাবেন। পারটেক্স ফার্নিচার সুলভ ও স্বল্পমূল্যে দেওয়ার ফলে নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সবারই পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বলে তিনি জানান।
সোফা সেট দেখতে আসা ব্যবসায়ী নুরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, পারটেক্স ফার্নিচারের কাঠের জুড়ি নেই। সম্পূর্ণ নতুন একটি সোফা সেট দেখে গেলাম। শিগগিরই কিনব।
নুরুল হকের স্ত্রী শাহেদা রোমানা বলেন, কাঠের বেলায় পারটেক্স আপোষ করে না। কেনার আগেই কুপন পেয়ে ভালো লাগছে। বাচ্চাদেরও পছন্দ পারটেক্স ফার্নিচার।
মেলার শেষ পর্যন্ত নতুন ফার্নিচার আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসক কুমার বলেন, মেলার বেশ কিছুদিন আগে বাজারে আসা সব নতুন ফার্নিচার মেলায় আনা হয়েছে।
দেশীয় প্রতিষ্ঠান পারটেক্স ফার্নিচার ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লি. ১৯৬২ সালে তার যাত্রা শুরু করে। অল্প দিনেই বিভিন্ন মডেলের মনকাড়া ফার্নিচারের মাধ্যমে অল্প সময়ে ক্রেতাদের কাছে বিশেষ পরিচিত হয়ে ওঠে।
বর্তমানে ঢাকাসহ ১৩টি শো-রুম ও সারাদেশে পারটেক্সের ডিলার রয়েছে। বাণিজ্যমেলা ছাড়াও শো-রুমে ড্রইং, ডাইনিং, বেডরুম, অফিস ফার্নিচারের পাশাপাশি বিভিন্ন আসবাবপত্র পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫