ঢাকা: বাঙ্গালিদের বলা হয় রসনাপ্রিয়। যুগের পরিবর্তনে এমন অনেক বিদেশি খাবারও বাঙ্গালির রসনায় যোগ দিয়েছে।
ঢাকায় ৯ ও ১০ জানুয়ারি দু’দিন ব্যাপী ফুড ফেস্টিভালে প্রদর্শন ও বিক্রি হয়েছে এ রকম শত শত খাবার। বিরিয়ানি, বার্গার, পিঠাপুলিসহ ৪০টিরও বেশি স্টলে শতাধিক খাবারের আয়োজনে শেষ হয়েছে ফুড ফেস্টিভাল।
রাজধানীর আর্মি মিউজিয়াম মাঠে ঢাকা ফুডিস নামের একটি ওয়েবসাইট ভিত্তিক খাবার প্রতিষ্ঠান এ উৎসবের আয়োজন করে। সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় খাবার নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। উৎসবে সংগীতের মুর্ছনায় দর্শনার্থীদের আনন্দিত করে বিভিন্ন ব্যান্ড দলের পরিবেশনা।
উৎসবে বিরিয়ানী কনটেস্টে বিজয়ী হন মামুন রশীদ। বাংলানিউজকে তিনি জানান, রকমারি খাবারের সঙ্গে পরিচিত হতেই মেলায় আসা। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিরিয়ানি সবার আগে খেয়ে তিনি ক্রেস্ট ও পুরস্কার জিতেছেন।
তার মত খাবারের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে কয়েকশ’ তরুণ-তরুণী।
ফুড ফেস্টিভাল ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাবার আয়োজন ঘিরে ভিড় লেগেছিলো প্রতিটি স্টলে। যারা ভিড় করেছেন তাদের বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী। স্বপরিবারেও অনেকেই এসেছিলেন উৎসব উপভোগ করতে।
বাংলাদেশের যে কোন উৎসবে আনন্দে মিশে আছে রকমারি পিঠা। উৎসবে বেশিরভাগ দর্শনার্থীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রকমারি পিঠাপুলি।
মেলায় নকশী পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই পিঠা, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠা- এমনি আরও পিঠার পসরা সাজানো হয়েছিলো।
মেলায় অংশ নেয়া শর্মিস ফুড কর্ণারের বিক্রেতারা জানান, শর্মিস ফুড কর্ণার নামে কোন মেলায় এবারই প্রথম তাদের অংশগ্রহণ। তবে মোহাম্মদপুরে তাদের বাসা থেকে অনেকেই অনেক আগে থেকেই পিঠা কিনে নিয়ে যান। বাড়িতে তৈরি পিঠার দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। বেশ সাড়া পাচ্ছেন শর্মিস ফুড কর্ণারের কর্ণধার আইরিন পারভিন শর্মি।
বাংলাদেশ সময় : ১৮০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫