ঢাকা: বাংলাদেশের ফেনীর ছাগলনাইয়া এবং ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তে মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে সীমান্ত হাট। দু’দেশের বাণিজ্য মন্ত্রী এ হাট উদ্বোধন করবেন।
সোমবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কক্ষে এ কথা জানান বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তোফায়েল বলেন, আগামীকাল ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় সীমান্ত হাট উদ্বোধন হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মূলত আমরা সীমান্ত হাট নিয়ে আলোচনা করেছি। পাশাপাশি পণ্য রপ্তানি, ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পণ্য রপ্তানিতে ভারতের সঙ্গে আমাদের যে সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের পথে। সীমান্তে পণ্য আমদানিতেও যে সমস্যা রয়েছে তা সহজ করতে আমরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি। ভারতের যা করার তা করবে, আমাদের পক্ষ থেকে আমরাও করবো। আশা করি এ সমস্যার সমাধান হবে।
এছাড়া তামাক ও মদ ছাড়া অন্যসব পণ্য রপ্তানিতে যে সুবিধা ভারত থেকে পাওয়া গেছে, তাতে কিছু বাধা রয়েছে বলে জানান তোফায়েল।
তিনি বলেন, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আশা করি তা সহসা সমাধান হবে।
বিএসটিআই নিয়ে তোফায়েল বলেন, বিএসটিআই নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তার সমাধানে ইতিমধ্যে ভারত এ সংস্থা আধুনিকায়নে অর্থায়ন করেছে। বিএসটিআইয়ের আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করছি আমাদের পণ্য পরীক্ষামাণ ভারতে গ্রহণযোগ্য হবে।
পঙ্কজ শরণ বলেন, ভারত-বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক বন্ধু। ভারতের অনেক বড়-বড় কোম্পানি আছে, যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য তাকিয়ে রয়েছে। এ বিনিয়োগে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে। এতে শুধু বাংলদেশের নয়, দু’দেশই লাভবান হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সমস্যা; বাণিজ্যিক সম্পর্ক; বিএসটিআই’র গুনগত মানসহ গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান পঙ্কজ শরণ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পঙ্কজ শরণ বলেন, ভারত চায় এ অঞ্চলের সব জনগণের উন্নতি হোক। ভারতের বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে নিজেদের উন্নতির পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করা।
ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি ট্রানজিট চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পাকিস্তানের বাধার কারণে তা হয়নি। যেসব দেশ এ চুক্তিতে আগ্রহী ছিল, তাদের সঙ্গে ট্রান্সশিপমেন্ট হতে পারে। তবে তা দ্বিপাক্ষিকভাবে হবে।
ভারতের সঙ্গে ট্রান্সশিপমেন্টের বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতের পণ্য আশুগঞ্জ হয়ে ত্রিপুরা যায়। তাদের সে পণ্য কলকাতার বন্দর থেকে আমাদের জাহাজে করে আসে। এসব পণ্য আমাদের ট্রাকে করে আশুগঞ্জে হয়ে ত্রিপুরায় যায়। এর কারণ হচ্ছে, নেপাল ও ভুটানের মতো ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫/আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা