ঢাকা, শনিবার, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৯ জুলাই ২০২৫, ২৩ মহররম ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল চুক্তির খসড়া অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২৭, মে ৪, ২০১৫
পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল চুক্তির খসড়া অনুমোদন

ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য একটি চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার(০৪ মে’২০১৫) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘এগ্রিমেন্ট অন কোস্টাল শিপিং বিটুইন দ্য গভর্নমেন্ট অব পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া’ শীর্ষক খসড়া চুক্তিটিতে অনুমোদন দেয়া হয়।



এ চুক্তির ফলে দুই দেশের নৌপথ ব্যবহার করে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে বলে জানান মন্ত্রিপিরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।

গত ২০ থেকে ২২ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট অনুস্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিটি এখন স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলে চুক্তিটি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও কানেকটিভিটি বাড়বে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে ও ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্যবাহী জাহাজ আসতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ সময় লাগে। চুক্তি সই হলে ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে পণ্যবাহী জাহাজ যাওয়া-আসা সম্ভব। সময়ের সঙ্গে কমে আসবে পরিবহন ব্যয়ও।

চুক্তির আওতায় দুই দেশের পণ্যবাহী জাহাজ সমান সুবিধা ভোগ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, দুই দেশ একে অপরের সমুদ্র ও নদীপথ ব্যবহার করতে পারবে। যুদ্ধ জাহাজ, জরিপকারী জাহাজ ও মাছ ধরার জাহাজ চুক্তির আওতায় আসবে না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য পরিচালন পদ্ধতির মান(এসওপি-স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) নির্ধারণ করতে হবে। পদ্ধতিগত ডিটেইলস সেখানে উল্লেখ থাকবে।

২ দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট শিপিং কমিটি থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই কমিটি পর্যালোচনায় বসে কোনো অসুবিধা থাকলে দূর করবে এবং কোনো বিষয় যুক্ত করতে হলে তার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

গত ২৯ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে কলম্বো, সিঙ্গাপুর বন্দর হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ও ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করছে। এক্ষেত্রে এক দেশ থেকে আরেক দেশের দূরত্ব সাড়ে ৩ হাজার নটিক্যাল মাইল। কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্টের পর এ দূরত্ব কমে হবে ৬২০ নটিক্যাল মাইল।

কোনো পণ্য পরিবহনে আগে ৯০ ডলার খরচ হলেও চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ৩৫ ডলার খরচ হবে।

এই চুক্তির মেয়াদ ৫ বছর হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা নবায়ন হবে। তবে কেউ চুক্তি বাতিল করতে চাইলে ৬ মাস আগে নোটিশ দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৫
এমআইএইচ/এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।