ঢাকা: হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিতে ব্যবহৃত কার্টুন ও এক্সেসরিজ সরবরাহ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) এনবিআর’র সম্মেলন কক্ষে এনবিআর ও বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সভায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সভায় সাত সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটিকে আগামী ২১ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনবিআরের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চিংড়ি রপ্তানির প্যাকেজিং সামগ্রী সংগ্রহে টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রায় আইএলসি খোলা, ব্যাক টু ব্যাক এলসির শর্ত দেওয়ায় গত একমাসের বেশি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ হিমায়িত চিংড়ি খুলনা অঞ্চল থেকে রপ্তানি করা হয়। গত ৭ ডিসেম্বর খুলনা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের একটি আদেশে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
সভায় বিএফএফইএ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্য রপ্তানি করে আসছি। রপ্তানিতে ব্যবহৃত প্যাকেজিং সামগ্রী দীর্ঘ এক দশক ধরে স্থানীয় বন্ডেড প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় এলসির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। স্থানীয় এলসির মাধ্যমে পিআরসি ও অন্যান্য ডকুমেন্ট জমা দিয়ে বন্ডেড প্যাকেজিং সামগ্রী ব্যবহার করে থাকে। এতে বিদেশি মুদ্রা বা ব্যাক টু ব্যাক এলসির কোনো প্রয়োজন হয় না।
অথচ খুলনা কাস্টমস কর্তৃপক্ষে একটি অভিযোগ তুলে একটি আদেশ জারি করে শতভাগ রপ্তানিমুখী পণ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। এর ফলে গত একমাসের বেশি সময় শত কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। রপ্তানির স্বার্থে আদেশটি বাতিল করার দাবি জানান তিনি।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, রপ্তানি খাতকে বিশেষভাবে উৎসাহ দেয় এনবিআর। এক্ষেত্রে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিতে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে সার্বিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এনবিআর একটি রপ্তানি সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় এনবিআর সদস্য এএফএম শাহরিয়ার মোল্লা, সিআইসির মহাপরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন, শুল্ক গোয়েন্দা মহাপরিচালক ড. মইনুল খান, মংলা কাস্টম হাউস কমিশনার আল-আমিন প্রামানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
আরইউ/জেডএস