ঢাকা: মাসব্যাপী ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে ব্যতিক্রমী ও দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করছে ওয়ালটন। দর্শনার্থী-ক্রেতাদের নিরাপত্তার দিকটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্যাভিলিয়ন নির্মাণে প্রাধান্য পেয়েছে ‘স্কাই হাই’ থিম।
শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। হাতে সময় কম থাকায় দ্রুত এগিয়ে চলছে শেষ সময়ের নির্মাণকাজ। ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন নির্মাণে এবারও বেশ কিছু চমক রয়েছে। কাঠামো নির্মাণে নিরাপত্তা ইস্যুকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চমানের স্টিলের বিম, ফ্রেম, ফায়ার ও ইলেকট্রিক্যাল সেফটি ইক্যুপমেন্ট। একইসঙ্গে পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রেখে অনুসরণ করা হয়েছে গ্রিন-বিল্ডিং মেথড।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়- মেলায় সবচেয়ে সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন ৩লা বিশিষ্ট প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করছে তারা। প্যাভিলিয়নের চারপাশে থাকবে সবুজের সমারোহ। মূল প্রবেশদ্বারের সঙ্গেই কাঁচবেষ্টিত একটি টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে ওয়ালটনের আকাশ ছোঁয়ার আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিল রেখে করা হয়েছে এই ‘স্কাই হাই’ টাওয়ার। ইলেকট্রনিক্স পণ্যে দেশের বাজারে শীর্ষস্থান অর্জনের পর এবার তাদের লক্ষ্য বিশ্ববাজার।
মেলায় ওয়ালটনের দু’টি সেলস ও ডিসপ্লে সেন্টার থাকছে। একটি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন (নম্বর-২৩) ও অন্যটি স্টল (নম্বর- ৩১এ এবং ৩১বি)। ওয়ালটনের ২৩ নম্বর প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নটি নির্মিত হচ্ছে মেলার মূল প্রবেশদ্বারের ফোয়ারার পশ্চিম পাশে এবং বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের দক্ষিণ পাশে।
প্যাভিলিয়নটির নিচতলায় প্রদর্শন করা হবে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য। থাকছে এলইডি বাল্ব, সুইচ, সকেট, রিচার্জেবল ব্যাটারি, জেনারেটরসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস। দ্বিতীয় তলায় থাকবে ডিপ ফ্রিজসহ ওয়ালটন ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট। তৃতীয় তলাটি ব্যবহৃত হবে স্টোর হিসেবে। দর্শনার্থী-ক্রেতা এবং পণ্য ওঠানামা সহজ করতে প্যাভিলিয়নে সংযুক্ত করা হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লিফ্ট।
নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শক্ত স্টিলের কাঠামোর ওপর করা হচ্ছে প্যাভিলিয়নের পুরো স্থাপনা। ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনে ব্যবহার করা হচ্ছে ফায়ার রেসিস্ট্যান্ট এসিপি (অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল) বোর্ড, গ্লাস এবং স্টিলের ফ্রেম। থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। একসঙ্গে যেন প্রচুর দর্শক প্রবেশ করতে ও বের হতে পারেন সেজন্য রাখা হয়েছে ১৪ ফুটবিশিষ্ট দু’টি দরজা। নিচতলা থেকে দোতলায় যাওয়ার জন্য রয়েছে ৭ ফুট চওড়া সিঁড়ি।
ওয়ালটনের ইন্টেরিয়র ডিজাইন বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর এবং সিনিয়র স্থপতি রিনা চৌধুরী বলেন, তিনটি বিষয়কে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিকটি হলো, ওয়ালটনের ভিশন অনুযায়ী প্যাভিলিয়নের ডিজাইন করা। দ্বিতীয়ত, মেলায় আগত দর্শক-ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দৃষ্টিনন্দন করা। তৃতীয়ত, নিরাপত্তা।
তিনি আরো জানান, প্যাভিলিয়ন নির্মাণে যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো পরে দীর্ঘস্থায়ী ফ্যাক্টরি নির্মাণেও কাজে লাগবে। স্টিল ও এসিপি বোর্ডগুলোর ৯০ শতাংশই পরবর্তীতে ব্যবহারযোগ্য। ফ্লেমেবল অবজেক্ট যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্যবহৃত বোর্ড এবং স্টিলগুলোর ফায়ার রেসিস্ট্যান্ট ক্ষমতা কমপক্ষে ৯০ মিনিট।
জানা গেছে, ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে দর্শক-ক্রেতাদের বিনোদনের জন্য প্রবেশ দ্বারে থাকছে দু’টি ভাসমান মানব। ওয়ালটন সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি তৈরি করেছে।
ওয়ালটনের পিআর অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, এতো অল্প সময়ের মধ্যে এরকম একটি মজবুত প্যাভিলিয়ন বিশেষ করে কাঁচ দ্বারাবেষ্টিত স্কাই হাই টাওয়ার নির্মাণ করা খুবই চ্যালেঞ্জিং।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
জেডএস