ঢাকা, সোমবার, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৬ মে ২০২৫, ২৮ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২৫ হাজার টাকায় ছামছুলের পাওয়ার টিলার!

শাহিদুল ইসলাম সবুজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩৫, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
২৫ হাজার টাকায় ছামছুলের পাওয়ার টিলার! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জয়পুরহাট: ২৫ হাজার টাকা খরচ করে একটি ছোট পাওয়ার টিলার তৈরি করেছেন জয়পুরহাট সদরের ভাদশা ইউনিয়নের মালয়পুর গ্রামের মেকানিক ছামছুল।

মাত্র ৯০ কেজি ওজনের একটি পাওয়ার টিলার তৈরি করে স্থানীয় কৃষকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এত দিন ধরে অপেক্ষাকৃত যেসব জমি চাষের অভাবে বছরের পর বছর পড়ে থাকতো, সেসব জমিতে এবার এই পাওয়ার টিলারে চাষ করা যাবে সহজেই।  

১২ মণ ওজনের একটি বড় পাওয়ার টিলারের বর্তমান বাজার মূল্য যেখানে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো, সেখানে এই মেকানিকের ছোট পাওয়ার টিলারের দাম পড়ছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা। এ কারণে প্রত্যেক কৃষকই ইচ্ছা করলে একটি করে ছোট পাওয়ার টিলারের মালিক হতে পারবেন।

মেকানিক ছামছুল বাংলানিউজকে জানান, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে তিনি ছোট এই পাওয়ার টিলারের কাজ শুরু করেন। মাত্র দু’মাসেই তা তৈরি করেন তিনি। এ খবরে স্থানীয় কৃষক থেকে শুরু করে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তার এই আবিষ্কার দেখতে ভিড় করছেন তার বাড়িতে।

তিনি জানান, পাওয়ার টিলারটি ৪ হর্স পাওয়ারের একটি শ্যালোইঞ্জিন ও ৬ ফলাযুক্ত। বড় টিলারে ১ বিঘা জমিতে ৪ চাষ করতে কৃষকের খরচ পড়ে ১ হাজার টাকা, সেখানে এই টিলারে খরচ পড়বে মাত্র ২শ টাকা। কেননা বড় টিলারে ১ বিঘা জমিতে চাষ করতে ৫ লিটার জ্বালানি লাগলেও ছোট এই টিলারে ২ লিটারের কিছু বেশি জ্বালানি লাগবে। তবে, ছোট পরিসরে তৈরি হওয়ায় বড় মেশিনের তুলনায় কিছুটা সময় বেশি লাগবে।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এজেডএম ছাব্বির ইবনে জাহান বাংলানিউজকে বলেন, ছামছুল ইসলামের আবিষ্কার নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর। কিন্তু তাঁর এই আবিষ্কার জাতীয় ভাবে স্বীকৃতি অর্জনের জন্য গাজীপুরের ধান ও কৃষি গবেষণার খামার যান্ত্রিকরণ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে আমরা যাবতীয় সহযোগিতা করবো।  

জয়পুরহাট সরকারি কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. গোলাম আজম বাংলানিউজকে বলেন, জেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে সহজলভ্য ও ছোট পরিসরে পাওয়ার টিলার তৈরির কারিগর নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তার এই আবিষ্কার জয়পুরহাট সহ সমগ্র দেশের কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এগিয়ে আসবেন বলে আমার বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
পিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।