ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তরুণ-মহিলা-সার্বিক ক্যাটারিতে ৩০৩ জন পাবেন কর সম্মাননা

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৬
তরুণ-মহিলা-সার্বিক ক্যাটারিতে ৩০৩ জন পাবেন কর সম্মাননা

ঢাকা: জাতীয় জীবনে রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি চালু ও করদাতাদের (বিশেষ করে তরুণ করদাতাদের) উৎসাহিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
 
এরই অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো তরুণ, মহিলা ও সার্বিক এ তিন ক্যাটাগরিতে ১০১ জন করে মোট ৩০৩ জন শ্রেষ্ঠ করদাতাকে ‘আলাদাভাবে’ সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।


 
একই সঙ্গে জাতীয় ও জেলা ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর দেওয়া শ্রেষ্ঠ করদাতার নীতিমালা সংশোধন করে ‘পেশাভিত্তিক’ শ্রেষ্ঠ করদাতার সম্মাননা চালুর চিন্তা করছে এনবিআর।
 
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড’র (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
 
তিনি জানান, ‘জনকল্যাণে রাজস্ব’ স্লোগানে সারাদেশে রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি চালু করছি। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। মানুষ এখন কর দিতে চায়, আমরা তাদের পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছি।
 
দেশের বিশাল একটি অংশ তরুণ ও মহিলা। এ অংশটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন হতে চায়। রাজস্ব উন্নয়নের অক্সিজেন তরুণ ও মহিলারা উন্নয়নে অংশীদার হতে চায়।
 
দিনে দিনে তরুণ ও মহিলা করদাতার সংখ্যা বাড়ছে। তাদের উৎসাহ প্রদানে প্রথমবারের মতো ১০১ জন তরুণ ও ১০১ জন মহিলা করদাতাকে শ্রেষ্ঠ করদাতা হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হবে।
 
একই সাথে সার্বিক বিবেচনায় আরো ১০১ জন শ্রেষ্ঠ করদাতা পাবেন এ সম্মাননা। তারা শিক্ষক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, নকশাবিদ, সরকারি চাকরিজীবী, আইনজীবীসহ যেকোন পেশার হতে পারেন।
 
গত অর্থবছরের জমাকৃত আয়কর বিবরণী ও কর প্রদানের ভিত্তিতে এ সম্মাননার জন্য সারাদেশ থেকে তিন ক্যাটাগরিতে মোট ৩০৩ জনকে বাছাই করা হবে।
 
চেয়ারম্যান জানান, সারাদেশ থেকে বাছাই করা হবে। শিগগিরই বাছাই প্রক্রিয়া শুরু ও সম্মাননা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে আমরা মনে করি, নতুন একটি যুগে প্রবেশ করবে এনবিআর।
 
‘জাতীয় ট্যাক্স কার্ড প্রদান নীতিমালা ২০১০’ অনুযায়ী প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ে ১০ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ করদাতার পুরুস্কার হিসেবে ‘ট্যাক্স কার্ড’ প্রদান করে আসছে এনবিআর।
 
রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ব্যক্তি পর্যায়ে সাড়ে চার কোটি ও প্রতিষ্ঠান আড়াইশ’ কোটি টাকা দিলে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা হিসেবে ট্যাক্স কার্ড, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়।
 
এছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় তিনজনকে দীর্ঘ মেয়াদি ও দু’জনকে স্বল্প মেয়াদি এবং জেলা পর্যায়ে ১০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
 
এ ট্যাক্স কার্ডধারীরা ভিআইপি’র মর্যাদা, জাতীয় অনুষ্ঠান, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ, বিমান, রেলপথ ও জলপথে ভ্রমণ ও হাসপাতালে সুবিধা পেয়ে থাকেন।
 
‘পেশাভিত্তিক’ শ্রেষ্ঠ করদাতার সম্মাননা দেওয়া হবে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে এ সম্মাননা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক করদাতা বঞ্চিত হয়ে নিরুৎসাহিত হয়।
 
দেখা যায়, বেশি কর দিয়ে শুধু ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর সম্মাননা পায়। সেক্ষেত্রে কর প্রদানের প্রতিযোগিতা কমে যায়। আমরা পেশাভিত্তিক এ সুবিধা চালু করতে চাই।
 
শিক্ষক, প্রকৌশলী, নকশাবিদ, আইনজীবী, চিকিৎসক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী-এভাবে সব পেশার আলাদা আলাদা সম্মাননা দিলে কর প্রদানে সব পেশাজীবীরা উৎসাহ পাবেন। কমে যাবে কর ফাঁকির মতো ব্যাধি। এজন্য ‘জাতীয় ট্যাক্স কার্ড প্রদান নীতিমালা’ সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান মো. নজিবুর রহমান।
 
‘জাতীয় জীবনে রাজস্ব সংস্কৃতির প্রয়াসে’ এনবিআর এ ধরনের উদ্যোগের মতো ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়ে এনবিআরকে সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৬
আরইউ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।