ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বন্যার প্রভাব কাঁচা বাজারে, সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৬
 বন্যার প্রভাব কাঁচা বাজারে, সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে চাহিদা মতো পণ্য সরবরাহ না থাকায় অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে।

বিশেষ করে কাঁচাবাজারে প্রত্যকটি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ সপ্তাহে মাংস ছাড়া সবজিসহ বাকি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও বেগুনের দাম দিন-দিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। এছাড়া চালের দাম কেজি প্রতি ২ টাকা করে বেড়েছে।

বিক্রতারা জানান, সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের বন্যার কারণে কাঁচা পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় পণ্যের দাম বেড়েছে। এ রকম চলতে থাকলে কাঁচা বাজারের দাম বাড়তেই থাকবে।

এদিকে, কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারের তুলনায় রাজধানীর অন্য বাজারগুলোতে সবজির দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের সবজি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। স্থানীয় অন্য বাজারগুলোতে সবজি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকায়। ঢাকার স্থানীয় বাজারগুলোতে করলা, ঢেঁড়স, রেখা, মূলা, ঝিঙা, লাউ, বরবটি, পটল ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা থেকে ৭০ টাকা।

বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা। কচুরমুখী ৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, কাঁচ‍া কলা ৩০ টাকা হালি, লেবু ২০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া (ছোট) ৩০ টাকা পিস, লাউ ৪০ টাকা ও আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা।

কাঁচা বাজারের দাম বাড়ার বিষয়ে বিক্রেতা হারুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘টিভি দেখেন না, খবর পড়েন না। সারা দেশে বন্যা হচ্ছে, সবজির খেত পানিতে ডুবে গেছে। বাজারে মাল সরবরাহ ন‍াই, তাই দাম তো বাড়বেই। ’

কারওরান বাজারে খরচ করতে আসা সরকারি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার এলাকার বাজারে সবজি আগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই পাইকারি বাজারে আসলাম। গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে বেগুন, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেশ বেড়েছে।

বন্যার প্রভাব কাঁচাবাজারে পড়লেও রাজধানীর বাজারে সপ্তাহে মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, লেয়ার ১৮০ টাকা। আকারভেদে দেশি মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। এ সপ্তাহে গরুর মাংস (বাজারভেদে) ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা। খাসির মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, রসুন, চিনি ও ডালের চাহিদাও দাম অপরিবর্তিত আছে। পেঁয়াজ (দেশি) ৫০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ (আমদানিকৃত) ৪৫ টাকা। যা কয়েকদিন আগে বিক্রি হতো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকা, মসুর ডাল (দেশি) মানভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, (আমদানি) মানভেদে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। মুগ ডাল প্রতি কেজি মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। রুই মাছ (ছোট) ২০০ টাকা, রুই (বড়) ৩৫০ টাকা কেজি, ছোট কাতলা ২০০-২৮০ টাকা, চিংড়ি (ছোট) ৪০০ টাকা কেজি এবং তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৬
এমসি/টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।