ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র স্বত্ত্বেও এগিয়ে যাচ্ছে পোশাকখাত’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৬
‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র স্বত্ত্বেও এগিয়ে যাচ্ছে পোশাকখাত’ ছবি: জিএম মুজিবুর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র স্বত্ত্বেও বাংলাদেশের পোশাকখাত স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

৩১ আগস্ট (বুধবার) সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘১৭তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সেমস গ্লোবালের আয়োজনে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী এ এক্সপো চলবে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার) পর্যন্ত।

মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পোশাকখাত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ রপ্তানি খাত হিসেবে উন্নীত হয়েছে। সরকারের উপযুক্ত নীতি, সহায়তা ও উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্ঠায় সব বাঁধা পেরিয়ে এ খাত এগিয়ে যাবে।

আমু বলেন, তাজরীন গার্মেন্টস ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা হয়। আমরা ইতিমধ্যে এ সুবিধা ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সব শর্ত পূরণ করেছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, এফবিসিসিআই’র প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল আলম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএ’র প্রথম সভাপতি আসলাম সানি, সেমস গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট মেহেরুন এন ইসলাম প্রমুখ।

প্রদর্শনীতে ২৩টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে বলে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শফিউল আলম মহিউদ্দিন বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় সন্ত্রাসবাদ এখন একটি বৈশ্বিক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে গুলশান হামলার মতো ঘটনার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন করার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৫০ বিলিয়ন আসবে তৈরি পোশাক খাত থেকে।

তবে পোশাক কারখানাগুলোকে অবশ্যই ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ মানসম্পন্ন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ইতিমধ্যে ইউরোপিয়ান ক্রেতা জোট অ্যাকর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কারখানাগুলোর প্রায় ৬৫ শতাংশ এবং আমেরিকান ক্রেতাজোট অ্যালায়েন্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কারখানাগুলোর ৬০ শতাংশ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় বিনিয়োগ হয়েছে তিন বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি আইএলও’র নির্দেশনা ও ন্যাশনাল অ্যাকশন প্লান অনুযায়ী কারখানার পরিদর্শন ও সংস্কার কাজ চলছে।

বিকেএমইএ পোশাক খাতে প্রায় ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য সংযোজন করে থাকে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রথম সভাপতি আসলাম সানি।

**‘টেক্সটেক এক্সপো’তে ২৩ দেশের সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠান 

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৬/আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা
জেপি/জিসিপি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।