ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাকিতে ব্যবসায় ধরা খেলো রূপালী ইন্স্যুরেন্স

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
বাকিতে ব্যবসায় ধরা খেলো রূপালী ইন্স্যুরেন্স

ঢাকা: বাকিতে ব্যবসা করে ধরা খেলো পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। অবৈধ ব্যবসার দায়ে এমডিসহ কোম্পানিটিকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে।

পরিদর্শন ও শুনানি শেষে অপরাধের প্রমাণ পেয়ে এ জরিমানা করেছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে, বিমা আইন অনুসারে কোনো বিমা কোম্পানি বাকিতে ব্যবসা করতে পারে না। এ নিয়ম ভঙ্গ করে ২০১৫ সালের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও নভেম্বর মাসে বাকিতে নৌ-বিমা করে কোম্পানিটি। আইডিআরএ’র বিশেষ পরিদর্শক দল কোম্পানিটিতে গিয়ে তাদের ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে নগদ অর্থ কিংবা চেক না নিয়ে সম্পূর্ণ বাকিতে ব্যবসার বিষয়টি দেখতে পান।

এরপর নিয়ম অনুসারে কোম্পানিটিতে বাকিতে ব্যবসা হয়েছে কি-না তা জানতে শুনানির আয়োজন করে আইডিআরএ। গত ০৪ মে অনুষ্ঠিত শুনানিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদের সভাপতিত্বে আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে শুনানিতে সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে কোম্পানির কর্মকর্তারা সঠিক কোনো উত্তর দিতে না পারায় বাকিতে বিমা ব্যবসার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

ফলে বাকিতে ব্যবসার দায়ে এমডিসহ কোম্পানিটিকে প্রতি মাসের জন্য ৩ লাখ টাকা করে ছয় মাসে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে প্রতি মাসে এমডিকে ৫০ হাজার টাকা আর কোম্পানিকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আইডিআরএ’র সদস্য ও মুখপাত্র জুরে আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, কোম্পানিগুলোতে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি-না? সে বিষয়টি দেখতে আইডিআরএ’র পরিদর্শন টিম নিয়ম অনুসারে বিভিন্ন বিমা কোম্পানিতে পরিদর্শন করেন। তার ধারাবাহিকতায় রূপালী ইন্স্যুরেন্সে একটি পরিদর্শন দল পাঠানো হয়েছিলো। দলের সদস্যরা বাকিতে বিমা ব্যবসার বিষয়টি দেখতে পান, যা প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে বিমা আইন অনুসারে ছয় মাসের জন্য মোট ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে রয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। কোম্পানির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কুদ্দুসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ফ্লাইটে আছি (বিমান), পরে এসো কথা বলবো’।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
এমএফআই/এএসআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।