ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘দারিদ্র্য বিমোচনে তাক লাগানো সাফল্য বাংলাদেশের’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
‘দারিদ্র্য বিমোচনে তাক লাগানো সাফল্য বাংলাদেশের’ ছবি: দিপু মালাকার

ঢাকা: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের তাক লাগানোর সাফল্যের প্রশংসা করে বিশ্ব ব্যাংকের জিম ইয়ং কিম দারিদ্র্য পীড়িত অন্য দেশগুলোকে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ অনন্য দৃষ্টান্ত (Impressive record) স্থাপন করেছে।

আশা করি এটি অব্যাহত থাকবে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আর্ন্তজাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জিম ইয়ং কিম বলেন, ‘বাংলাদেশের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে, বাংলাদেশের বাইরের দেশগুলো বাংলাদেশের উদ্ভাবন থেকে পাঠ নিতে পারে। ’

বাংলাদেশের সাফল্য অন্যদের জন্য উৎসাহব্যাঞ্জক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ তার লক্ষে পৌঁছাতে পারবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নারী নেতৃত্বে অনেক কিছু অর্জন করা সম্ভব। ’

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ দারিদ্র্য নির্মূল করতে পারবে। বিশ্বাস করি বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবে, লক্ষে পৌঁছাতে পারবে।

পরিবার পরিকল্পনা, ক্ষুদ্র ঋণ, স্যানিটেশন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতার প্রশংসা করেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট।

নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যখন মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই নারী। সেখানে নারীর ক্ষমতায়নকে বাংলাদেশ স্বীকৃতি দিয়েছে। নারীদেরও সক্ষম করে তুলছে।

বাংলাদেশের ন্যাশনাল ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সফলতার প্রশংসা করেন।  

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও নারী ক্ষমতায়নে নারীদের আয় বর্ধক কর্মসূচিতে উদ্বুদ্ধ করার প্রশংসা করেন তিনি। শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণের প্রশংসা করেন জিম ইয়ং কিম।

শিক্ষার প্রসারে স্কুলে নগদ টাকা বৃত্তি কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্যরা এখান থেকে শিখতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন কিম।

দারিদ্র্য বিমোচন বৈশ্বিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, ১ বছরে বিশ্বের ১০ কোটি মানুষকে অতিদারিদ্র্য থেকে বের করে আনা হয়েছে।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পল রোমার, বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
এমইউএম/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।