ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শেখ হাসিনার পদক্ষেপের সঙ্গে একমত বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৬
শেখ হাসিনার পদক্ষেপের সঙ্গে একমত বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া পদক্ষেপগুলোর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

 

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মত প্রকাশ করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া পদক্ষেপের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট।

একই সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন এজেন্ডার ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন।

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিরূপ প্রভাবের কথা তুলে ধরে জিম ইয়ং কিম বলেন, বিশ্বব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষতি উপশমে বাংলাদেশকে পুরোপুরি সহযোগিতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবেলায় তহবিল গঠনে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।

বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা করা সহজতর হয়েছে, তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা দ্রুত উন্নয়ন চাই। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ মানুষের মৌলিক প্রয়োজনগুলো নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যায় না বিগত বিএনপি সরকার এমন বক্তব্য দিয়েছিলো বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নারীর ক্ষমতায়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা, চাকরি সব জায়গায় নারীরা এগিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, নারীরা এখন সরাসরি নির্বাচন করছে। সংসদে তাদের জন্য ৫০টি আসন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

এ প্রেক্ষিতে তিনি আরো বলেন, অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পিছনে ফেলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষের মোবাইলসহ তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় তিনি বিএনপি আমলে দলটির এক নেতার মনোপলি মোবাইল ব্যবসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা সরকারে এসে মনোপলি ব্যবসায় ভেঙে দেই। এতে মোবাইল ফোন সাধারণ মানুষের কাছে সহজ্যলভ্য হয়েছে। যার সুবিধা মানুষ এখন পাচ্ছে।

১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশ পিছিয়ে গেছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে একটি সরকারি চ্যানেল ছিলো আমরা এ খাততে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করি। এখন ২৪টি চ্যানেল চলছে। আরো অনেকগুলো অপেক্ষায় রয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান, অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদের মধ্যে আরও ছিলেন, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সুবাস চন্দ্র গার্গ , অলটারনেট নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূইয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৬
এমইউএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।