ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিরল রেলওয়ে স্থলবন্দর চালু হচ্ছে শিগগিরই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
বিরল রেলওয়ে স্থলবন্দর চালু হচ্ছে শিগগিরই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দিনাজপুর: শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে দিনাজপুর বিরল রেলওয়ে স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দরটি পূর্ণাঙ্গ রুপে চালু হলে দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরের সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।

সেই সঙ্গে পাল্টে যাবে দিনাজপুরের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট। দিনাজপুর পরিণত হবে শিল্প ও পর্যটন নগরীতে।

বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ও ভূটানের চতুর্দেশীয় বাণিজ্যের আপার সম্ভাবনার কেন্দ্রস্থল দিনাজপুর বিরল রেলওয়ে স্থলবন্দরটির কাজ সেপ্টেম্বর মাসেই সম্পন্ন হয়েছে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দিনাজপুর জেলার বিরল স্টেশন থেকে ভারতের রাধিকাপুর স্টেশন হয়ে সার্ক চুক্তি অনুসারে ভারত হয়ে নেপাল-ভূটানসহ সার্কভুক্ত অন্য দেশের সঙ্গে রেলপথে বাংলাদেশের পণ্য আদান প্রদান শুরু হবে।

এর আগে ২০০৪ সালে ভারতের রাধিকাপুর স্টেশনে মিটার গেজ লাইন উত্তোলন করে
ব্রডগেজ লাইন স্থাপন করায় বিরল দিয়ে ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে রেল যোগাযোগে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে, পণ্য বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত অব্যাহত থাকে।

নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে জানান, বিরল থেকে ভারতের রাধিকাপুর স্টেশন পর্যন্ত লাইনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রেল চলাচল শুরু হবে। বন্দরটির পণ্য খালাসের স্থানও নির্ধারণ হয়েছে।

দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. মোছাদ্দেক হোসেন বাংলানিউজকে
জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা স্থলবন্দরটি চালু হওয়ার খবর শুনতে পেয়ে অত্যন্ত খুশি। এ বন্দরটি সম্পূর্ণরুপে চালু হলে ভারত-নেপাল ও ভূটানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। দেশের রাজস্ব আয় হবে। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের।

২০০৪ সালের আগে এই বন্দরটি দিয়ে বিভিন্ন পণ্য আনা-নেওয়া হতো। যার মধ্যে সার, গম, চিনি, পাথর, কয়লা, খাদ্য পণ্য, ফলমূল প্রভৃতি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
পিসি/ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।