ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন হচ্ছে না দক্ষিণ এশিয়ার দেশে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন হচ্ছে না দক্ষিণ এশিয়ার দেশে

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উৎপাদিত পণ্য কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করতে পারেনি। মান উন্নয়নে আরও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সংস্কারের অভাব রয়েছে। বিনিয়োগের অভাব, ভালো অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন শিল্প স্থাপনের সুযোগ না থাকায় এটি হয়েছে।

ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উৎপাদিত পণ্য কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করতে পারেনি। মান উন্নয়নে আরও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সংস্কারের অভাব রয়েছে।

বিনিয়োগের অভাব, ভালো অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন শিল্প স্থাপনের সুযোগ না থাকায় এটি হয়েছে।

‘সাউথ এশিয়া’স টার্ন: পলিসিজ টু বুস্ট কমপিটিটিভনেস অ্যান্ড ক্রিয়েট দ্য নেক্সট এক্সপোর্ট পাওয়ার হাউজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট যৌথভাবে প্রণীত প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এ সময় মুহিত বলেন, দারিদ্র্যের হার কমে ২২ ভাগে নেমে আসবে- এটা ১২ বছর পূর্বে এই দেশের মানুষ বিশ্বাস করতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না। না, অবশ্যই না। আমিও এটা বিশ্বাস করতে পারিনি।

তিনি বলেন, আমি দারিদ্র্য বিমোচনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে ছিলাম। কিন্তু আমিও ভাবতে পারিনি, এই হারে কমবে। এটা সম্ভব হয়েছে, সমস্যায় পড়লে মানুষ সেটা থেকে উত্তরণে কঠোর চেষ্টা করে এবং সেটা থেকে ভালো কিছু বের করে আনতে চায়। এটাই আমরা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে করছি। সামনের দিনগুলোতে আমাদের এটা করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিক সংস্কারের মাধ্যমে বাণিজ্য ব্যবস্থার উন্নতি ও ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির মাধ্যমে বাংলাদেশ পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মতো রপ্তানি শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারবে।  

সরকারের সহায়তা, প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মী ও ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নতুন পণ্য ও প্রক্রিয়া প্রবর্তন এবং ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা এবং প্রতিযোগিতামূলক দক্ষতার উন্নতি করতে পারে। এসব সংস্কার কর্মসূচি এবং বিনিয়োগ দক্ষিণ এশিয়ার বিপুল প্রতিযোগিতামূলক সম্ভাবনা বাস্তবায়নে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

প্রতিবেদনে আর বলা হয়, এ জন্য রপ্তানিকারকদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি আরও সহজ করা, এবং পর্যায়ক্রমে শুল্ক কমানো ও বাণিজ্যিক সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে করতে হবে। ‍গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ থেকে বছরে ১৩ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট রপ্তানির ৮০শতাংশই পোশাকখাতে কেন্দ্রীভূত। রপ্তানি অব্যহত রাখতে হলে তৈরি পোশাকের গুণগত মান উন্নয়ন, বৈচিত্র্য আনয়ন করতে হবে। পাশাপাশি নতুন শ্রমশক্তি নির্ভর ও দক্ষতা নির্ভর শিল্প (পাদুকা, হালকা প্রকৌশল ও ইলেকট্রনিক্স) রপ্তানি বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হবে।

এজন্য চারটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো; ব্যবসার পরিবেশ উন্নতি; গ্লোবাল ভ্যালু চেইনের সঙ্গে সংযুক্তকরণ; একই জায়গায় অবস্থান থেকে উৎপাদন সুবিধার সর্বোচ্চকরণ এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো।
 
বাংলাদেশেসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আরও বেশি সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আরও অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা প্রয়োজন। যাতে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নত সেবার আওতাভূক্ত ভূমি ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো পায়। কারণ ভালো অবস্থানে থাকা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে নতুন কোন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ নেই। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছে না।
 
এ সময় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফ্যান, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ ভিনসেন্ট পলমেইড, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থনীতিবিদ কাজী এম আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক, এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা, অধ্যাপক এসআর ওসমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।