ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভ্যাট নিবন্ধন ৫ লাখে উন্নীত করার ইচ্ছা অর্থমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
ভ্যাট নিবন্ধন ৫ লাখে উন্নীত করার ইচ্ছা অর্থমন্ত্রীর

২০২১ সালের মধ্যে ভ্যাট নিবন্ধিত (রেজিস্টার) প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ লাখে উন্নীত করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

ঢাকা: ২০২১ সালের মধ্যে ভ্যাট নিবন্ধিত (রেজিস্টার) প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ লাখে উন্নীত করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
 
তিনি বলেন, দেশে ৮০ লাখ ভ্যাট নিবন্ধিত হওয়া ও ভ্যাট দেওয়ার যোগ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

কিন্তু মাত্র ৫০ হাজার নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা লজ্জার।
 
রোববার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন জাতীয় রাজস্ব ভবনে ‘রুপকল্প ২০২১ ও রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে ভ্যাটের গুরুত্ব’ ও সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, ৫০ হাজার ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধন সংখ্যা বাড়ানো উচিত। এ হার উচ্চহারে নিয়ে যাওয়া উচিত। ২০২১ সালের মধ্যে টার্গেট হওয়া উচিত ৫ লাখ প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ী রাজস্ব বোর্ডকে কাজ করতে হবে।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ ভালো অবস্থানে রয়েছেন। সেজন্য ইতোমধ্যে এনবিআর ২৫ লাখ ই-টিআইএন নিবন্ধন নিয়েছেন। করদাতা ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা ২৫ লাখ উন্নীত করায় এনবিআরকে ধন্যবাদ।
ভর্তুকির মাধ্যমে ইসিআর (ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার) প্রদান করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মূসক অত্যন্ত ভালো একটি কর ব্যবস্থা। শুধু ভালো করে হিসাব রাখলেই হয়। ব্যবসায়ীদের মূসক দিতে আগ্রহী করতে সরকার ভর্তুকি দিয়ে ইসিআর মেশিন সরবরাহ করবে।  
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ডব্লিউটিও এর নিয়ম অনুযায়ী শুল্কের হার কমে যাবে, সেক্ষেত্রে ভ্যাটের ওপর রাজস্ব আহরণ নির্ভরতা বাড়বে। ভ্যাটের হার এমনভাবে নির্ধারণ করা উচিত যাতে ব্যবসায়ীরা খুশি হন, আহরণও বাড়ে।
 
তিনি বলেন, কর দেওয়া গৌরবের বিষয়। কর বিষয়ে মানুষকে আরো বেশি উৎসাহ দিতে হবে। ২৫ লাখ ই-টিআইএন নিবন্ধিত হওয়ায় এনবিআরকে ধন্যবাদ। ২০২১ সালের মধ্যে এ হার আরো বাড়বে।
 
এনবিআরকে ভ্যাটের হার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, প্যাকেজ ভ্যাট প্রদানকারীর সংখ্যা খুব বেশি নয়। যেভাবে আন্দোলন হচ্ছে, মনে হয় অনেক বেশি। তবে যে আন্দোলন হচ্ছে তা সমাধান হয়ে যাবে।
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, এনবিআরের পদক্ষেপের ফলে এনবিআর ও করদাতাদের মধ্যে দূরত্ব অনেক কমে গেছে। ভ্যাট কোনো চাঁদা নয়, এটা ন্যায্য অধিকার। ভ্যাট আদায় করে জমা না দেওয়া বড় অপরাধ। আমাদের যে প্রযুক্তি রয়েছে তার সাহায্যে আমরা শনাক্ত ও ভ্যাট আদায় করতে পারি। যে প্রযুক্তি রয়েছে তা কাজে লাগিয়ে ভ্যাট আদায় করতে হবে। রাজস্ব যেমন বাড়ানো প্রয়োজন, তেমনি রাজস্ব কোথায় খরচ হচ্ছে সে বিষয়ে সচেতন হওয়াও প্রয়োজন।
 
অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রথম সহ-সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য মো. রেজাউল হাসান। অনুষ্ঠানে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের আওতায় একটি কলসেন্টার উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী।  
 
পরে জাতীয় পর্যায়ে তিন ক্যাটাগরিতে ৯ প্রতিষ্ঠান ও ঢাকার চারটি ভ্যাট কমিশনারেট, এলটিইউ’র আওতায় ২১টি প্রতিষ্ঠানসহ ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ মূসক প্রদানকারী হিসেবে সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬/আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা
আরইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।