এনবিআর সূত্রে জানা যায়, যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বছরে ৩০ লাখ টাকার কম লেনদেন হয় সেসব প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নিতে হবে না। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের বছরে লেনদেন ৩০ লাখ টাকার বেশি হয় সেসব প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে নিবন্ধন নিতে হবে।
এছাড়া চলতি অর্থ বছরের নভেম্বর থেকে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) আওতাধীন ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হয়। বৃহৎ করদাতা ইউনিটের আওতাধীন ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানের (একটি প্রতিষ্ঠানের একাধিক নিবন্ধন রয়েছে। অনলাইন নিবন্ধনে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের একটি নিবন্ধন নম্বর হবে) মধ্যে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠান পুন:নিবন্ধন নিয়েছে। এলটিইউ এর পর ঢাকার চারটি কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন শুরু হয়। পরে ১৫ মার্চ থেকে সীমিত আকারে সারাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নিবন্ধন উন্মুক্ত করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনলাইন ভ্যাট সিস্টেম উদ্বোধন করেন ২৩ মার্চ।
অপরদিকে আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে ‘মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’। আইনটি বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন রাজস্ব ফাঁকি কমবে, তেমনিভাবে প্রতিবছর কর জিডিপি ১ শতাংশ বাড়বে। এছাড়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো এই ঠিকানায় গিয়ে www.vat.gov.bd নিবন্ধন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে ভ্যাট অনলাইনের ওয়েবসাইটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্য শাখার ঠিকানা, ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যবসার ধরন, ব্যবসা শুরুর তারিখ, বিদ্যমান ভ্যাট নম্বর থাকলে তার তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ব্যবসায়ে তাদের অংশের তথ্যও দিতে হবে নিবন্ধনকালে। শুধু তাই নয়, অনলাইনে নিবন্ধন সম্পর্কে ১৬৫৫৫ নম্বরে ফোন করেও যে কোনো তথ্য জানা যাবে।
এ বিষয়ে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, তথ্যমন্ত্রী ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমের উদ্বোধন করার পর থেকে নিবন্ধন নিতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরো উৎসাহ বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিচ্ছে। এছাড়া আগামী পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নতুন নিবন্ধনের (বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা বিন) আওতায় আনতে কাজ করছে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প।
চলতি বছর দেড় লাখের বেশি নিবন্ধনের টার্গেট নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা রাজস্ব আহরণের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারের উন্নয়নের অংশিদার হতে আমাদের চেষ্টার বিন্দুমাত্র ত্রুটি নেই। এছাড়া আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) আগে নতুন ও পুরাতন (রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশন) ৫০ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে এটা করতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হবে, তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অন্যদিকে নতুন ভ্যাট আইনে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ তথ্যের দিক থেকে দুর্নীতি করে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে আইনে কঠোর ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১,২০১৭
এসজে/জেডএম