শনিবার (০১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঝিগাতলা-শংকর সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন তারা।
সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর না করায় সর্বোচ্চ আদালত আগামী বৃহস্পতিবারের (০৬ এপ্রিল) মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো সম্পূর্ণ বন্ধের (ক্লোজ ডাউন) নির্দেশ দিয়েছেন মালিকদের।
সর্বশেষ আগামী ঈদ-উল আযহা পর্যন্ত হাজারীবাগে থাকতে চেয়ে ট্যানারি মালিকদের করা আবেদনও খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
ফলে হাজারীবাগে কোনোভাবেই আর থাকার সুযোগ নেই ট্যানারিগুলোর।
এর আগে গত কয়েক বছরে সাভারে গড়ে ওঠা চামড়া শিল্পনগরীতে হাজারীবাগের ট্যানারি কারখানা স্থানান্তরে সরকারের দফায় দফায় দেওয়া নির্দেশেও কান দেননি ব্যবসায়ীরা।
২০১০ সালের অক্টোবরে ট্যানারি স্থানান্তরে ছয়মাস সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিলের পর থেকে হাজারীবাগে ট্যানারি চালানোর অনুমোদন নেই। এরপরও সরকার গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেও ট্যানারি সরিয়ে নেননি মালিকরা।
মানববন্ধনে ট্যানারি মালিকদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাজারীবাগের সকল ট্যানারি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী ইলিয়াসুর রহমান বাবলু।
বাবলু বলেন, ‘সাভারের চামড়া শিল্পপার্ক এখনো সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি। তারপরও আমরা ট্যানারি সরিয়ে নিতে মাত্র তিনমাস সময় চেয়েছি। সামনে ঈদ, এখন কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে আমরা বিশাল ক্ষতির মুখে পড়বো। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল ট্যানারি বন্ধ করে দেওয়া হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
ইউএম/এসআরএস/এমজেএফ/এএসআর