তিনি বলেন, প্রতি মঙ্গলবার একনেকে চমৎকার সব প্রকল্প নিয়ে আসা হয়। কিন্তু পরে দেখা যায় কাজ থেমে আছে, পিডি নেই, নানা সমস্যা।
এগুলো টেকসই উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের বাধা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘এসডিজি অর্জনে জাতীয় স্বেচ্ছা- পর্যালোচনা নাগরিক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল সমাজ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে এগুতে হবে। সিভিল সোসাইটিকেও এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের একার পক্ষে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান বলেন, এসডিজি’র আওতায় কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। মানবসক্ষমতা বাড়াতে হবে। শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।
সরকারের ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ৪১ এ উন্নত দেশের যে শ্লোগান তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গড় হিসেব করে বের করা এ উন্নয়ন প্রকৃত চিত্র নয়। দেশের প্রত্যেক শ্রেণী ও পরিবারের প্রকৃত অর্থনৈতিক উন্নয়নের হিসেব করতে হবে।
জনভিত্তি শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এসডিজি’র সবগুলো লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আরো আলোচনা করা দরকার। একসঙ্গে সবগুলো বিষয় না এনে আলাদা আলাদা ভাবে আলোচনায় আনতে হবে। তখন বিষয়গুলো সঠিক ভাবে চিহ্নিত হবে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনেক সক্রিয় এবং তারা প্রতিটি বিষয় নিয়ে ভাবছেন বলেও জানান অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জমান।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন- উন্নয়ন পরিষদের প্রধান নির্বাহী ড. নীলুফার বানু, বাপা'র ড. আব্দুল মতিন, ডিবেটার্স ফোরামের (সিডিএফ) চেয়ারম্যান এমরানুল হক চৌধুরী, জিসিএডি এর কোঅর্ডিনেটর আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
এসএ/বিএস