শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সোনারগাঁও হোটেলে পর্যটনবর্ষ ২০১৭-২০১৮: ব্যাংক এবং আর্থিক খাতের ভূমিকা ও প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতার সময় তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও ট্রাভেল ম্যাগাজিন ‘ভ্রমণ’ পর্যটনবর্ষকে সামনে রেখে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, আইবিবিএল এর চেয়ারম্যান আরস্তু খান, সিপিডির গবেষক ড. তৌফিক খান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও ড. মো. নাসির উদ্দিন, পাটা বাংলাদেশ চ্যাপ্টার সভাপতি শাহিদ হামিদ, টোয়াব সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ, এসআইবিএল এর এএমডি এ এম এম ফরহাদ প্রমুখ।
আবু হেনা মো. রাজী হাসান বলেন, পর্যটন একটি অপার সম্ভাবনার খাত। এ খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে বলে আশা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বলেন, আমাদের রেমিটেন্স বিগত বছরের তুলনায় গত ৮ মাসে কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। কাজেই ট্যুরিস্ট যদি বাড়ে অর্থাৎ, বিদেশি ট্যুরিস্টরা যদি এখানে আসেন তাহলে রেমিটেন্স হুমকির মাত্রা কমবে।
তিনি বলেন, ব্যাংকের দায়িত্ব উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ করা। এখন ব্যাংক যদি পর্যটনখাতকে উন্নত ‘রিচ’ মনে করে, তাহলে তারা সিন্ডিকেশন লোনে যেতে পারে। যাতে রিচটা তারা শেয়ার করে নিতে পারে। বিকশমান খাতে বিনিয়োগে সিন্ডিকেশনের দিক নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
পর্যটকদের সুবিধার্থে মানিচেঞ্জার সুবিধা হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরাও নিতে পারে বলে জানিয়ে বলেন, ১৯৯৮-২০০০ সালের দিকে সাড়ে ৬০০ মানি চেঞ্জারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। মানি চেঞ্জারের শর্ত ছিলো বছরের যদি ৫ লাখ ডলার কেনা-বেচা করতে পারে তাহলে সে এ কাজ করতে পারবে। সেখানে অনেকেই তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিল।
ডেপুটি গভর্নর বলেন, এখন ২৩২-২৩৩টি মানিচেঞ্জার সারা দেশে রয়েছে। এক্ষেত্রে হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা যদি নির্ধারিত কিছু ডকুমেন্ট দিয়ে মানি চেঞ্জিংয়ের সুবিধা নিতে চান তারা কিন্তু নিতে পারেন। এরকম নির্দেশনা দেওয়া আছে। যারা এ সেক্টরে কাজ করছেন তাদের জন্য মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স উদারভাবে দেওয়া হবে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতকে যেভাবে সিএসআরভুক্ত করে অনুদান দেওয়া হয়, সেভাবে পর্যটনখাতকে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি ঘোষণাপত্র জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
সিএসআর হচ্ছে সামাজিক দায়বদ্ধতা বা করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা। এটি একধরনের ব্যবসায়িক শিষ্টাচার বা নীতি যা সমাজের প্রতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপালনকে ব্যবসার নিয়মের মধ্য অন্তর্ভুক্ত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এসএম/এএ