অথচ সরকারি হিসাবে দেশে চিনির কোনো ঘাটতি নেই। বরং কাগজে-কলমে চিনির আমদানি ও মজুদ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই আমদানি হয়েছে সাড়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন। অথচ আগের বছরের এ সময়ে আমদানি হয়েছিল পৌনে ১১ লাখ মেট্রিক টন।
গত ৩০ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পরিস্থিতি বিষয়ক বৈঠকে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারি হিসাব যাই হোক না কেনো গত অর্থবছরে কম করে হলেও দুই মিলিয়ন মেট্রিক টন বা ২০ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছিল। ওই বৈঠকে ট্যারিফ কমিশন থেকে দাবি করা হয়, ৩০ এপ্রিল সারা দেশের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৬২ থেকে ৬৪ টাকা দরে।
এর আগে ২৯ এপ্রিল সিটিগ্রুপের মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ সাহা বাংলানিউজকে জানান, সেদিন মিল গেটে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা ৫৮ পয়সা থেকে ৫৯ টাকা। কিন্তু ওইদিনই বাংলাদেশ পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা বাংলানিউজকে জানান, সেদিন ঢাকার পাইকারি বাজারে সারাদিনে চিনি বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা কেজি দরে।
বাজার পরিসংখ্যান ও ব্যবসায়ীদের মেমো বলছে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকেই চিনির দর বাড়াতে শুরু করেন মিল মালিকরা। সপ্তাহের শুরুতে (২২ এপ্রিল) মিলগেটে চিনির দর ৫৩ টাকা থাকলেও শেষ দিকে (২৮ এপ্রিল) তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ টাকা। যা আবার এপ্রিলের শেষ দু’দিনে বিক্রি হয় যথাক্রমে ৫৯ টাকা ও ৬২ টাকায়।
অন্যদিকে ২ মে পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চিনি বিক্রি হয়েছে ৩৪শ টাকা বা প্রতিকেজি ৬৮ টাকা কেজি দরে। এদিন খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হয়েছে ৭২ টাকা প্রতিকেজি। অন্যদিকে ৩ মে (বুধবার) চিনির পাইকারি দর বস্তা প্রতি বেড়েছে আরও দুশো টাকা, যা কেজিতে দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২৯ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত পাইকারি বাজারে চিনির দর বেড়েছে কেজিতে ১৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৩ টাকা করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
আরএম/এএ