সোমবার (০৮ মে) বিকেলে রাজধানী একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ইনেশিয়েটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে এমন মতামত দেন তারা।
সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর রেহমান সোবহান, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিন্ডেন্ট ফারুক সোবহান প্রমুখ।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এর বোর্ড অব গর্ভনরের চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়েজ আহমেদ।
ড. গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ভাগ্যবান একটি দেশ, যার ভারত ও চীনের মতো শক্তিশালী বন্ধু দেশ রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসরগামী দেশ হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। ২০২১ সালের ভিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন এসেছে। চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব কতোটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা বুঝতে পেরেছি।
তিনি বলেন, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এসব সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিনিয়োগ করার জন্য চীনকে উৎসাহিত করতে হবে।
চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং বলেন, ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ইনেশিয়েটিভ’ উদ্যোগ চীনের। তবে শুধু চীনের সুবিধার জন্য এ চুক্তি করা হয়নি। এখানে স্বাক্ষর করা সবক’টি দেশ আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। এরইমধ্যে চীন বাংলাদেশে অবকাঠামো, রোড অ্যান্ড ব্রিজসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। বিআরআই’র ফলে দৃশ্যমান উন্নয়ন হবে, যা প্রমাণিত হতে চলেছে।
ফারুক সোবহান বলেন, বিআরআই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব রাখবে। চীনের প্রেসিডেন্টের সফরে ১৩টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে ৩৫ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার সহায়তা প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়। আমাদের আগে এ প্রকল্পগুলোতে হাত দিতে হবে। তাহলে বিআরআই’র সফলতা আরো দৃশ্যমান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এমসি/জেডএস