চলতি বছর প্রধানমন্ত্রীর ‘ন্যাশনওয়াইড ফাইনেন্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রাম’ উদ্বোধনের পর চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে নিজ খরচে সেমিনারের আয়োজন করে কমিশন।
এখন পর্যায়ক্রমে বাকি বিভাগ এবং জেলা পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।
একদিকে পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনে ব্যবসা কমে আসা, অন্যদিকে একের পর এক চাঁদা দেওয়ার নির্দেশনায় ব্রোকারেজ হাউজে, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি এই ক্ষোভের কথা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১০ সালের ধসের পর থেকে থেমে থেমে চলা দরপতনে হাতেগোনা কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ ছাড়া বেশিরভাগ হাউজ লোকসানে ব্যবসা চালাচ্ছে।
তারা বলছেন, কয়েকদিন আগে মুদ্রাপাচার ঠেকাতে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাদের (ক্যামেলকো) নিয়ে বিলাসবহুল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অথচ সেই প্রোগ্রাম গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। প্রতিনিধিদের এই খরচ ব্রোকারেজ হাউজসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে করতে হয়েছে। তার উপর আবার প্রতিবছর এই প্রোগ্রামের জন্য টাকা দিতে হবে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ডিএসইর সাবেক পরিচালক বাংলানিউজকে বলেন, ২৫০টি ব্রোকারেজ হাউজের মধ্যে ১৫০টি ব্রোজারেজ হাউজ লোকসানে চলছে। বাজার ভালো করার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে বিএসইসির যখন যা ইচ্ছা, তাই করছে। বলা নেই, কওয়া নেই একের পর এক চাঁদা পরিশোধে চিঠি দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ব্যবসা করতে দেবে বলে তো মনে হয় না।
কমিশনের উপ-পরিচালক ও তহবিল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. মিরাজ-উস-সুন্নাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিকে বলা হয়, দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডিএসই ১ কোটি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ৫০ লাখ, সেন্ট্রাল ডিপোজিটারি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) দেড় কোটি, ৫০ হাজার করে ৫৬টি মার্চেন্ট ব্যাংককে ২৮ লাখ, ২০ হাজার করে ৩৯৮টি ব্রোকারেজ হাউজকে (স্টক ব্রোকার-স্টক ডিলার) ৭৯ লাখ ৬০ হাজার, ৫০ হাজার করে ৮টি ক্রেডিট রেটিং কোম্পানিকে ৪ লাখ, ৫০ হাজার করে ১৭টি এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে ৮ লাখ ৫০ হাজার, ৫০ হাজার করে ১২ ফান্ড ম্যনেজারকে ৬ লাখ, ৫০ হাজার করে ৩০৪টি ইস্যুয়ার কোম্পানিকে (তালিকাভুক্ত) ১ কোটি ৫২ লাখ এবং ১০ হাজার টাকা করে ৩৫টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ২টি তালিকাভুক্ত করপোরেট বন্ডকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ১৫ মে তারিখের মধ্যে জমা দিয়ে রশিদ অথবা পে অর্ডারের কপি দিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
এমএফআই/আরআর