বৃহস্পতিবার (১১ মে) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পূর্ববতী আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুধবার (১০ মে) সংবাদ সম্মেলন করে খালেদা জিয়া রূপকল্প-২০৩০ ঘোষণা নিয়ে এক সম্পাদকের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে মুহিত বলেন, আমি এখন এ বিষয়ে কমেন্ট করবো না।
‘এটা পাওয়া সহজ, জানি আমি। এটা তো দেশের জন্য ভালো, ইউ হ্যাভ অ্যা প্রোজেকশন বাই অ্যান ইমপরটেন্ট পলিটিক্যাল পার্টি (আপনি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলের ভবিষ্যৎ রূপরেখা পেয়েছেন)।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট হবে আমার দেওয়া বাজেটগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট। পরেরবার হবে নির্বাচনী বাজেট। তাই যা কিছু চাপাচাপি করার এবারই করা হবে। বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়া, ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়িত হবে। ভ্যাটের হারও কমানো হবে।
বাজেটে ‘চাপাচাপিটা’ কী হবে— সম্পাদকদের তরফ থেকে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, চাপাচাপি মানেই জনগণকে বেশি কর দিতে হবে। এখন রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি আছে ১৬ শতাংশ। আগামী বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা হবে ৩০ শতাংশ। ফলে এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে জনগণকে বেশি করে ট্যাক্স দিতে হবে। জনগণের ওপর চাপ পড়বে।
নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হলে জনগণের ওপর চাপ পড়বে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, হ্যাঁ, চাপ থাকবে। তবে এই চাপ সহ্য করার ক্ষমতা জনগণের আছে। কেননা, দেশের অর্থনীতি আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন গতিশীল। মানুষের আয় বেড়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় এখন ভালো।
তিনি বলেন, এবারের বাজেটে একক ভ্যাট হার থাকবে। বিগত সময়ে কয়েক ধরনের ভ্যাটের রেট ছিল। এটি আর থাকছে না।
আগামী বাজেটে কোনো ‘সারপ্রাইজ’ থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, থাকবে।
তবে কী থাকবে সেটি তিনি পরিষ্কার করেননি।
মুহিত বলেন, আগামী বাজেটে অনগ্রসর এলাকার জনগণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে। এছাড়া পাইপলাইনে আটকে থাকা ২২ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি সাহায্য ছাড় করার ব্যাপারে বিশেষ পরিকল্পনার ঘোষণা থাকবে।
আলোচনায় দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সমকাল প্রকাশক একে আজাদ, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, বাংলাভিশনের চেয়ারম্যান আবদুল হক, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭/আপডেট ১৮৫৫ ঘণ্টা
এসই/এইচএ/