এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) এর তথ্য অনুযায়ী, কেবল যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমেছে তা নয়, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানিই কমেছে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
অন্যদিকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাজার যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএ জানায়, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অন্যতম বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জুলাই-মার্চ মাসে যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। এই সময়ে কানাডায় ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও ব্রাজিলে ২৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও ইএবি সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিকুলতার কারণে আমাদের রপ্তানি আয় কমেছে। একদিকে পণ্যের অব্যাহত দরপতন, অন্যদিকে প্রতি বছর আমাদের গড় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে ৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ।
সর্বপরি, প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজার ধরে রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। কারখানাগুলোর নীট আয়ের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।
পোশাক শিল্পের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি না বাড়লে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন ইপিবির (বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো) কর্মকর্তারা।
ইপিবি থেকে জানা যায়, বিগত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৪ হাজার ২৫৭ মিলিয়ন ডলার। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৩৭ হাজার মিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ মাসে অর্জিত রপ্তানি আয় ২৫ হাজার ৯৪৬ মিলিয়ন ডলার।
জুলাই-মার্চ মাসে নীট পোশাক খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ১০ হাজার ১৪৩ মিলিয়ন ডলার যা বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশী। ওই সময়ে মোট রপ্তানিতে এ খাতের অবদান ৩৯ দশমিক ০৯ শতাংশ।
অন্যদিকে ওভেন পোশাক খাতে ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরের জুলাই-মার্চ সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ১০ হাজার ৭৮৫ মিলিয়ন ডলার যা বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ১৮ শতাংশ বেশী। ওই সময়ে মোট রপ্তানিতে এ খাতের অবদান ৪১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
জেডএম/