দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ (নাসিব) বা জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশ। সংগঠনের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর মৌচাক আউটার সার্কুলার রোডের মেজবাহ উদ্দিন প্লাজায়।
হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশের পর সংগঠনের ২০১৭-১৯ সালের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তফসিল গত ২৫ মে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রকীব। ঘোষিত তফসিল অনুসারে প্রার্থী বাছাইসহ সকল প্রক্রিয়া শেষে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ০৯ সেপ্টেম্বর। ওইদিন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সদস্যরা পরবর্তীতে সভাপতিসহ অন্যান্য পদের নির্বাচনে ভোট দেবেন।
নাসিবের কেন্দ্রীয় কমিটিতে একজন সভাপতি ও ৫ জন সহ সভাপতি ছাড়াও ২৭ জন সদস্য হবেন।
তফসিল অনুসারে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গত ০৮ আগস্ট। মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে ০১ থেকে ০৭ আগস্ট।
সভাপতি পদে নির্বাচনে আগ্রহী কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাননি।
তাদের অভিযোগ, কার্যনির্বাহী কমিটির পদগুলোতে নিজের পছন্দের প্রার্থী ছাড়া আর কাউকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে দেননি বর্তমান সভাপতি মির্জা নুরুল গনি শোভন। যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে চেয়েছেন, তাদেরকে সংগঠনের সদস্যপদ বাতিলের হুমকিও দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহে ব্যর্থ কয়েকজন অভিযোগ করেন, মির্জা নুরুল গনি শোভন আবারও সভাপতি হতেই নিজের পছন্দের প্রার্থী ছাড়া অন্য কারও কাছে মনোনয়নপত্র দিতে দেননি। তবে তার নিজ জেলা টাঙ্গাইলের কমিটি থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সুযোগ পেয়েছেন জয়নাল আবেদীন। এ বিষয়ে তারা শোভনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তখন শোভন কয়েকজনকে সদস্যপদ বাতিলের হুমকি দিয়েছেন।
জয় অটো গার্মেন্টসের মালিক হেলেনা জাহাঙ্গীর জানান, তিনি নাসিবের প্রতিনিধি হয়ে অ্যাসোসিয়েশন থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) ২০১৭-১৯ মেয়াদের নির্বাচনে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
তার অভিযোগ, সদস্য পদে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কয়েকদিন ঘোরাঘুরির পর মনোনয়নপত্র না পেয়ে সভাপতির কাছে জানতে চান। সভাপতি তিনি এ সংগঠনের সদস্য নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
নাসিবের সভাপতি মির্জা নুরুল গনি শোভন বাংলানিউজকে বলেন, ‘কার্যনির্বাহী কমিটির ৩১টি পদের বিপরীতে ৩২ বা ৩৩টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। নির্বাচনী বোর্ডের বিধান অনুসারেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা নেওয়া হয়েছে। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তার যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখা উচিৎ’।
শোভন আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে জেলা কমিটি থেকে মনোনীত হতে হয়। হেলেনা জাহাঙ্গীর কোনো জেলা কমিটির সদস্য নন। তাই তিনি এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি’।
নাসিবের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রকীব বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বলতে পারবো’।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এসই/এএসআর