ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এফবিসিসিআই ‘ব্যবসা বান্ধব ই-কমার্স নীতিমালা’ চায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৭
এফবিসিসিআই ‘ব্যবসা বান্ধব ই-কমার্স নীতিমালা’ চায় এফবিসিসিআইয়ের কর্মশালা

ঢাকা: ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ই-কমার্স খাতের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ খাতের বিকাশে ব্যবসা-বান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা ই-কমার্স খাতে ব্যাপকভাবে এগিয়ে এসেছে।

কিন্তু ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে‘পেমেন্টসিস্টেম’, লজিস্টিকস, ডেলিভারি এবং নিরাপত্তার দিকটিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নীতিমালা প্রণয়ণ করা উচিত বলে এফবিসিসিআই মত প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর ) এফবিসিসিআই সম্মেলন কক্ষে ‘ই-কমার্স সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব মতামত উঠে আসে।

বর্তমানে ই-কমার্স নীতিমালাটি খসড়া পর্যায়ে রয়েছে, যা শিগগিরই সংসদে আলোচনার মাধ্যমে ‘নীতিমালা’ এবং পরবর্তীতে ‘বিধিমালা’ (অ্যাক্ট) হিসেবে চূড়ান্ত হবে।

নীতিমালা চূড়ান্তকরণ পর্যায়ে এফবিসিসিআই এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি গ্রহিতাদের (স্টেকহোল্ডারের) সঙ্গে আলোচনা করা দরকার বলে এফবিসিসিআই মনে করে।

এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে এবং জার্মান ভিত্তিক সংস্থা ফ্রেডরিখ নুউম্যান ফাউন্ডেশনের (এফএনএফ) সহায়তায় অনুষ্ঠিত  এ কর্মশালায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই পরিচালক এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)- এর পরামর্শক শমী কায়সার।

কর্মশালায় গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকনোমিক রিসার্চ প্ল্যাটফর্মের প্রকল্প পরিচালক নুহিন খান।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হোসাইন জামিল এবং এফএনএফ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. নাজমুল হোসেনও বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় এফবিসিসিআই পরিচালকরা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, এসএমই ফাউন্ডেশন ও বেসিস সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

নুহিন তার গবেষণাপত্রে দেশের বর্তমান ই-কমার্স খাতের সাফল্য এবং ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।

তিনি এক্ষেত্রে ‘সহায়ক নীতিমালা’, হাই-স্পিডইন্টারনেট, অর্থ পরিশোধে জটিলতা এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেন। কর্মশালার সমন্বয়ক শমী কায়সার ব্যবসা-বান্ধব ই-কমার্স নীতিমালার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

শমী কায়সার বলেন, ‘ প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে ই-কমার্স খাত দেশের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক খাতের মতো ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম।

তিনি এক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন এবং সম্ভাবনাময় বাজার চিহ্নিতকরণের ওপর গুরুত্ব দেন। এফবিসিসিআই অধিভূক্ত বিভিন্ন সংগঠনকেও ক্রমান্বয়ে ই-কমার্স বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এফবিসিসিআই এবং এফএনএফ প্রকল্পের আওতায় দেশের ‘ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন’ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। এর আগেও দেশের ই-কমার্স খাত নিয়ে বেশ কয়েকটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদশে সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।