কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখনই চালের বাজার থেকে কোনো সুসংবাদ পাচ্ছেন না ক্রেতারা। বরং দাম কমার জন্য ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হবে আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত।
বাংলা বৈশাখ মাসের শুরু বা ইংরেজি এপ্রিল মাসের মাঝখান দিয়ে বাজারে আসতে শুরু করবে বোরো মৌসুমের চাল।
অর্থাৎ, দাম কমার জন্য ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও ৬ মাস!
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষ দিকে বাজারে আমন মৌসুমের চাল পুরোপুরি আসা শুরু করলেও দাম কমবে না মিনিকেট ও মোটা চালের।
তবে এই মৌসুমের হওয়ায় দাম কিছুটা কমবে দাদখানি, দুদলাকি,
দুধসর, ধলা আমন, নাগরা, নাজিরশাইল, পাটনাই, বাঁশফুল, বাইশ বিশ, বাদশাভোগ ও কাটারিভোগ চালের।
কিন্তু এসব চালের দাম কমার ফলে বিশেষ কোনো সুবিধা পাবেন না ক্রেতারা। কারণ দেশীয় বাজারে মিনিকেট, বিআর-২৮, পারিজা ও স্বর্ণা চালের চাহিদা বেশি।
আর আমন মৌসুমে এসব জাতের ধানের ফলন হয় না। ফলে বোরো মৌসুমের ফলন বাজারে না আসা পর্যন্ত ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হবে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের চালের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
চালের পাইকারি বাজারের সর্বশেষ অনুযায়ী তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি মিনিকেট ৫৭-৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ টাকা,বিআর-২৮ ৪৭ টাকা ও পারিজা ও স্বর্ণা যথাক্রমে ৪৩ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে খুচরা বাজারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৭০ টাকা, মিনিকেট চাল ৬২ টাকা, বিআর-২৮ ৫০-৫৫ টাকা ও স্বর্ণা এবং পারিজা বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা করে।
কারওয়ানবাজারের চালের পাইকারি বিক্রেতা নাজির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, চালের দাম এক জায়গায় আটকে আছে, তা সত্য। বোরো মৌসুমের আগে চালের দাম কমার কোনো ধরনের সুযোগ নেই। বরং উল্টো চালের আমদানি ব্যাহত হলে আবার দাম বাড়ার আশঙ্কাও আছে।
কারওয়ানবাজারের চালের খুচরা বিক্রেতা মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের চালের বাজারে দর নির্ভর করে ভারতীয় আমদানি চাল ও দেশীয় চালের ওপর। আমদানি চালের প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলেও যেহেতু দেশীয় চাল এখনো বাজারে আসেনি সেই জন্য বাজার এখনো অস্থিতিশীল।
তিনি বলেন, দামের সমস্যা সমাধান হবে বোরো মৌসুমের চাল বাজারে আসলে। কারণ বাজারে যে সব চালের চাহিদা রয়েছে আমন মৌসুমে তার ফলন হয় না।
উল্লেখ্য, গত ছয় মাস ধরে চলা চালের দামের এই অস্থিরতার জন্য সরকার আমদানি কর কমানোসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিলেও তেমন একটা সুফল ক্রেতারা পায়নি। ফলে চালের দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ রয়েছে সরকারের ওপর। এছাড়া বেশ কয়েকটি দেশ থেকে চাল আমদানি করেও ক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটাতে পারেননি খাদ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এমএসি/আরআই