ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০২৪ সালে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
২০২৪ সালে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ২০২৪ সালে দেশে আর কোনো দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী থাকবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। 

তিনি বলেছেন, দারিদ্র্য বিমোচনে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে ২০২০ সালেই এ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে। তবে কিছু ফাঁক-ফোকর দিয়ে কিছু দারিদ্র্য থেকে থাকবে, তাই ২০২৪ সাল ধরেছি।

 

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন।

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও ইরা ইনফোটেক লিমিটেডের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়। নিজি নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আকবর হোসেন ও ইরা ইনফোটেকের সিইও মো. সিরাজুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, এরপরও এর অর্থ এই নয় যে, শতভাগ দারিদ্র্য নির্মূল হবে। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধরা থাকবে। তবে তা ১৪ থেকে ৭ শতাংশ নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। আমরা যদি ৭ শতাংশ দরিদ্রতার হার কমিয়ে আনতে পারি তাহলে ২০৩০ সালে আন্তর্জাতিক যে টার্গেট রয়েছে তার ছয় বছর আগেই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হবে।

‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প যেন কার্যকর হয় সেজন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক খোলা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের দিকে তাকালেও দেখা যাবে-তা বদলে গেছে। তারা এখন এন্টারপ্রাইজ লোন দেয়। ’

অর্থমন্ত্রী বলেন, দরিদ্রতা দূর না হওয়া পর্যন্ত সব প্রকল্প চলবে। সঙ্গে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চলবে সমঝোতার ভিত্তিতে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ৫০টি বিষয়ে সমঝোতা (এমওইউ) চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করে এনেছে।  

‘আগামী মার্চ মাসের সুবিধাজনক সময়ে সমঝোতা চুক্তিটি সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক ও প্রকল্প একসঙ্গে চলতে গিয়ে যে সঙ্কট তৈরি হচ্ছিল, আশা করা হচ্ছে, সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে তার অবসান হবে। ’ 

আগামী ২০২০ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ পুরোপুরি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। ওই সময়ের পর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
কেজেড/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।